বন্দেভারতের পরিচালনার দায়িত্বকে ঘিরে এবার রেলকর্মীদের মধ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এনএফরেলওয়ে এমপ্লয়িজ অ্য়াসোসিয়েশনের এনজেপি শাখার দাবি এনজেপির হাতে এর দায়িত্ব থাকছে না। এই দায়িত্ব আলিপুরদুয়ারের হাতে দেওয়া হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এনজেপি থেকে গৌহাটিগামী বন্দেভারতের পরিচালনার দায়িত্ব আলিপুরদুয়ারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব রেলকর্মীদের একাংশ। এনিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার এডিআরএম অফিসের সামনে রীতিমতো ধর্না, বিক্ষোভ দেখান তারা।
সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, এনজেপির গুরুত্ব কমানোর জন্য়ই এসব করা হচ্ছে। সেকারণেই আলিপুরদুয়ারের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
সংগঠনের ইউনিট সম্পাদক ভাস্কর তর জানিয়েছেন, আমরা ধর্নায় বসেছি। এই ধর্নার মূল উদ্দেশ্য হল তিনটি। কদিন পরেই এনজেপি থেকে গৌহাটি বন্দে ভারত চালু হচ্ছে। যেটার রেক দ্রুত পৌঁছে যাবে। আমরা মৌখিকভাবে শুনেছি বন্দে ভারতের দায়িত্ব থাকবে আলিপুর ডিভিশনের হাতে। কিন্তু সেটা কেন হবে বুঝতে পারছি না। কারণ এনজেপিতেই তো প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ হবে। তবে কেন এখানে দায়িত্ব না দিয়ে সেটা আলিপুরদুয়ারের হাতে দেওয়া হচ্ছে? এনজেপি থেকে ক্রু ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। আসলে এনজেপি লবিকে ধুলিস্যাত করার একটা অপচেষ্টা সবসময়ই চলতে থাকে। এখানকার লবির হাতে পর্যাপ্ত লোকো পাইলট আছে। তবুও এই ধরণের আচরণ করা হচ্ছে। যতদিন না আমাদের দাবি না মানা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা অনশনেও বসতে পারি।
আন্দোলনকারীদের দাবি এনজেপির গুরুত্বকে ক্রমশ কমানো হচ্ছে। এনজেপিতেই প্রাথমিক রক্ষণেবেক্ষণ হবে। আর সেই এনজেপির গুরুত্বকেই কমানো হচ্ছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকেই ছাড়বে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাবে গৌহাটি পর্যন্ত। কিন্তু কেন এই ট্রেনের দায়িত্ব এনজেপির মতো গুরুত্বপূর্ণ সেকশনের হাতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলকর্মীদের একাংশ। এমনকী দাবি না মিটলে প্রয়োজনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও তাঁরা দিয়েছেন। তবে এনিয়ে রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।