MI তারকা ছয় মারায় দল হারে, রাগের চোটে মাথার টুপি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন দ্রাবিড় – Rahul Dravid was getting angry because of Me

Advertisement

শুভব্রত মুখার্জি: ২২ গজ হোক কিংবা ২২ গজের বাইরে, ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ধীরস্থির ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব নিঃসন্দেহে ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড়। এমন কী বর্তমানে ভারতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার পর থেকে মাথা গরম করেছেন রাহুল, এমন ঘটনার নিদর্শনও সত্যি খুব কম রয়েছে। তবে আজ থেকে বছর নয়েক আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৪ সালের আইপিএল চলাকালীন ঘটেছিল এই ঘটনা। সেই সময়ে রাজস্থান রয়্যালসের কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভার্চুয়াল নক আউটে হেরে যায় রাজস্থান। সেই ম্যাচে হারের পরেই রাহুল দ্রাবিড় এতটাই রেগে যান যে, তাঁর মাথার টুপি খুলে ছুঁড়ে মেরেছিলেন। কিন্তু কেন এমন করেছিলেন রাহুল? কোন প্লেয়ারের উপরে চটে গিয়েছিলেন তিনি? সেই সব অজানা কাহিনী শোনালেন, সেই ভারতীয় ক্রিকেটার, যার কারণে সেই দিন দ্রাবিড় তাঁর সংযম হারিয়েছিলেন মাঠেই।

আরও পড়ুন: প্লে-অফের স্বপ্নভঙ্গের পর জ্বলে উঠল দিল্লি, PBKS-কে হারিয়ে KKR-কে ভাসিয়ে রাখল DC

প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে ওই ম্যাচটি ছিল ভার্চুয়াল নক আউট ম্যাচ। যে দল জিতত, তারাই চলে যেত প্লে অফে। রাজস্থান রয়্যালস প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৮৯ রান করে। মুম্বইকে কোয়ালিফাই করতে হল সেই রান করতে হত ১৪.৩ ওভারে। এক বল বেশি খেলে মুম্বই সে দিন করেছিল ১৯৫/৩। শেষ বলে জেমস ফকনারকে ছয় মেরে আদিত্য তারে নেট রানরেটে মুম্বইকে প্লে অফে তোলেন। আদিত্য তারের মারা সেই দিনের সেই ছয় দেখেই রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন রাহুল‌ দ্রাবিড়। তাঁর মাথার টুপি খুলে ফেলে সজোরে আছাড় মারেন তিনি। তবে এর পরেই রাহুল অবশ্য তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মাটি থেকে টুপিটি তুলে নিয়ে পরে নেন।

আরও পড়ুন: IPL 2023: পন্টিংকে সরিয়ে সৌরভকে কোচ করুক, বদলে যাবে DC- দাবি ভারতের প্রাক্তনীর

স্টার স্পোর্টসের এক শো’তে ওই ঘটনার কথা মনে করে তারে বলেছেন, ‘আমি সেই সময়ে সেই ঘটনা দেখিনি (রাহুল দ্রাবিড়ের রেগে আগুন হয়ে যাওয়া)। তবে আমি সবার কাছ থেকে সেই ঘটনা শুনেছি। সকলেই আমাকে বলেছে, আমরা রাহুল দ্রাবিড়কে তোমার (আদিত্য তারের) কারণে রাগতে দেখেছি। ওই বলটার আগে ওরা (রাজস্থান রয়্যালস) ভেবেছিল যে, ওরাই কোয়ালিফাই করে গিয়েছে। কারণ স্কোর তখন টাই ছিল। ওদের ডাগ আউটে সবাই খুশি ছিল। এর পরেই আমরা একটা খবর পাই যে, আমাদের হাতে আরও একটি বল রয়েছে প্লে অফে যাওয়ার। সেই বলে আমাদেরকে বাউন্ডারি মারতে হবে, তবেই আমরা কোয়ালিফাই করব। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের ছয় মারতে হবে। পরে বুঝি চার মারলেই হত। ততক্ষণে ওই বলে আমি ছয় মারার কথা ঠিক করে ফেলেছিলাম মনে মনে।’

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।