Dooars tour: পাহাড়ে চড়ার ঝক্কি নিতে চাইছেন না? রকি আইল্যান্ড যান, মূর্তি নদীর ধারে তাঁবু

Advertisement

গরমকালে কিংবা বর্ষাকালে, শীতকালে কিংবা বসন্তকালে, প্রতি ঋতূতেই রূপ বদলায় ডুয়ার্স। ডুয়ার্স মানে এক অন্যরকম অনুভূতি। যাঁরা ভাবে সবুজের মাঝে নির্জনে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেবেন আবার পাহাড়ে ঘোরার ঝক্কি যাদের পছন্দ নয় তারা ডুয়ার্সে ঘুরে আসতে পারেন। তবে পাহাড়ের মতো অতটা ঠান্ডা পাবেন না। তবে ইট কাঠ পাথরের জঙ্গল ছেড়ে, কংক্রিটের এক ঘেয়েমি ব্যাপারটিকে দূরে রেখে দিন কয়েকের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন ডুয়ার্স থেকে। জলদাপাড়া, গরুমারার বাইরেও রয়েছে সুন্দরী ডুয়ার্সের নানা দিক। তারই একটি হল রকি আইল্যান্ড।

ডুয়ার্সের কিছুটা নতুন পর্যটন কেন্দ্র রকি আইল্যান্ড। ডুয়ার্স এমনিতেই সুন্দরী। রকি আইল্যান্ড আরো সুন্দর। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে এই রকি আইল্যান্ড। সামসিং থেকে দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে একেবারে ভরপুর রকি আইল্যান্ড। মূর্তি নদীর ধারে অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশে এই পর্যটনকেন্দ্র। এক পাশে জঙ্গল, আর পাথরে ধাক্কা খেয়ে বয়ে চলেছে নদীর জল। মন ভালো করা ডেস্টিনেশন।

শিলিগুড়ি থেকে রকি আইল্যান্ড যাওয়ার পথে দু’পাশে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য। ঘন জঙ্গল, সবুজে সবুজ। দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই বিউটি স্পট। এখান থেকে একাধিক ছোট ট্রেকিং রুট আছে। পাহাড়ের চড়াই-উতরাইও সেভাবে নেই। হেঁটে যেতে ভালোই লাগবে। একেবারে ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা একাধিক গ্রামে ঘুরে আসতে পারেন।

এখান থেকে মৌচুকি বলে একটা গ্রাম আছে। নেওরা নদীর ধারে। এক পাশে পাহাড়, এক পাশে ডুয়ার্সের সবুজে সবুজ প্রান্তর। দুইয়েরই মিলনস্থলে এই গ্রাম। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন।

মূর্তি নদীর ধারে দিনভর বসে থেকেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। নদীর ধারে ক্যাম্পিংয়েরও ব্যবস্থা আছে। তবে বছরের যে কোন সময় তেই আপনি রকি আইল্যান্ড আসতে পারেন। কিন্তু যদি বর্ষার পর পর আসেন তবে গোটা এলাকা আরো সবুজ হয়ে ওঠে। তবে ডুয়ার্সে বর্ষা অনেকদিন ধরে চলে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কালটা রকি আইল্যান্ডে আসার পক্ষে খুব ভালো। কারণ সেই সময় ঠান্ডার মধ্যে ট্রেকিং রুট গুলোতে যেতে খুব ভালো লাগবে।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।