West Bengal
oi-Kousik Sinha

প্রাথমিকে প্রায় ৩২০০০ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ। তবে রায়দান স্থগিত রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আগামী ১৯ শে মে দুপুর ১ টায় এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ শোনাবে ডিভিশন বেঞ্চ।
ফলে প্রাথমিকে ৩২০০০ হাজার চাকরি বাতিল হচ্ছে নাকি থাকছে সেদিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আইনজীবীমহল। গত কয়েকদিন আগেই প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

মঙ্গলবার আর আজ বুধবার দুদিন ধরে ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। যেখানে একাধিক প্রশ্ন তোলে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ বুধবার কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়নি। তবে দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ শুনানি করে ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দিকেই আঙ্গুল তুললেন চাকরি বাতিল হওয়া ৩২ হাজার শিক্ষকের একাংশ। সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকেরা তাদের বক্তব্যও শোনা হোক এই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ? ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল চাকরি হারাদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের।
দীর্ঘ শুনানিতে একাধিক বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন, দুর্নীতিতে যুক্ত আছেন বলে বলা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যকে।তারা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে এই সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহন করা যায়? আদালতে প্রশ্ন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের।
পাশাপাশি কয়েকজন প্রার্থীর নম্বর পরীক্ষা করে সিঙ্গেল বেঞ্চ কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে বুঝে গেলেন তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। এহেন নির্দেশে লক্ষাধিক মানুষের ক্ষতি হবে বলেও এদিন সওইয়াল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

অন্যদিকে সওয়ালে অংশ নেন বঞ্চিত প্রার্থীদের আইনজীবীও। তাঁর কথায়, সাত বছর ধরে আমরা রাস্তায় বসে আছি, আমাদের পরিবারে কেউ নেই ? সেক্ষেত্রে কি হবে? পাশাপাশি টেট না দিয়ে জেভাবে চাকরি পাওয়া তা নিয়েও দীর্ঘ সওয়াল চলে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছে। আদালতের কথায়, আগামী শুক্রবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
English summary
Hearing of 32000 cancelled appointment of Primary ends, Verdict on Friday