Undertrial prisoner dies: হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার বিচারাধীন বন্দির দেহ, ২ ওয়ার্ডেনকে শোকজ

Advertisement

হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল বিচারাধীন এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ওই বন্দি। শুক্রবার দুপুরে শৌচাগার থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার জেরে শোকজ করা হয়েছে দুজন ওয়ার্ডেনকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল ভক্তা (৪৯)। তিনি ঝাড়গ্রাম জেলার বিবিহান্ডির বাসিন্দা। একটি খুনের চেষ্টার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা থাকায় দুলালকে চলতি মাসের ৫ তারিখ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। হাসপাতালের নকশাল কেবিনে ভরতি ছিলেন ওই বন্দি। কেবিনের বাইরে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে শৌচাগার থেকে তার দেহ পাওয়া গিয়েছে। গলায় গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের দাবি, শৌচাগারে যাওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও বাইরে বের হননি ওই বন্দি। তাতেই সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। তারা শৌচাগারের ভিতরে গিয়ে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে দুলালের দেহ। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। বন্দির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এই মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকায় দুজন ওয়ার্ডেনকে শোকজ করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে খুনের চেষ্টার মামলায় দুলালকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। এরপর তার জেল হেফাজত হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ঝাড়গাম জেলে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ এবং ৩১৬৭ ধারায় মামলা চলছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ১ এপ্রিল তাঁকে চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ মে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।