হতে পারে লখনউ শিবিরের কোনও দোষ ছিল না। তা সত্ত্বেও হায়দরাবাদে দর্শকদের বিদ্রুপ এবং আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে তাদের। তবে লখনউ কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে যেরকম আচরণ করেন, সেটা প্রতিবাদের যথাযথ ভাষা হতে পারে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার লোকের অভাব হবে না। অন্তত ভারতীয় ক্রীড়া সংস্কৃতিতে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় বলেই বিবেচিত হয়েছে বরাবর।
হায়দরাবাদে তৃতীয় আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে সানরাইজার্স সমর্থকরা লখনউ শিবিরের উপরে নিজেদের রাগ উগরে দেন। লং-অনে ফিল্ডিং করার সময় লখনউয়ের ক্রিকেটার প্রেরক মানকড়কে লক্ষ্য করে গ্যালারি থেকে নাট-বোল্ট ছোঁড়া হয়, যা গিয়ে লাগে তারকা ক্রিকেটারের মাথায়।
প্রেরক দর্শকদের আক্রমণের শিকার হওয়া মাত্রই লখনউয়ের সাপোর্ট স্টাফরা মাঠে নেমে পড়েন। তাঁরা ম্যাচ অফিসিয়ালদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই বিষয়ে। লখনউয়ের ডাগ-আউট রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রাগে গড়গড় করতে থাকা লখনউ কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে রীতিমতো উত্তেজিতভাবে কথা বলতে দেখা যায় চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে। উত্তেজিতভাবে কথা বলার সময়েই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মধ্যমা দেখান আম্পায়ারকে, যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সমর্থকদের মধ্যমা দেখানোর জন্য ভারতীয় ক্রিকেটে কুখ্যাত হয়ে রয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। এবার আম্পায়ারকে উদ্দেশ্য করে হলেও ফের এক বিদেশি কোচ ভারতে এসে মধ্যমা দেখানোয় চ্যাপেলের সেই তিক্ত স্মৃতি ফিরে আসে আবার।
উল্লেখ্য, উপ্পলে হায়দরাবাদ ইনিংসের ১৮.৩ ওভারে আব্দুল সামাদকে একটি হাই ফুলটস বল করেন এলএসজি-র পেসার আবেশ খান। ফিল্ড আম্পায়ার নো-বল ডাকেন। তবে লখনউ রিভিউয়ের আবেদন জানায়। টেলিভিশন রি-প্লে দেখে অনেকেরই মনে হয় যে, সেটি যথার্থই নো-বল ছিল। যদিও থার্ড আম্পায়ার সকলকে অবাক করে নো-বলের সিদ্ধান্ত নাকচ করেন এবং সেটিকে বৈধ ডেলিভারি বলে ঘোষণা করেন।