পিচে বাউন্স ছিল পর্যাপ্ত। বল ঘুরছিল অল্প-বিস্তর। ব্যাটে যথাযথ বল আসায় ব্যাটসম্যানদের বড় শট নিতেও অসুবিধা হয়নি। সব মিলিয়ে উপ্পলের বাইশগজে ব্যাটসম্যান ও বোলার, উভয়দের জন্যই কিছু কিছু সাহায্য ছিল। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জও ছিল বিস্তর। সেই চ্যালেঞ্জটা যথাযথ গ্রহণ করে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বাউন্স কাজে লাগিয়ে উইকেট তোলেন যশ ঠাকুর, যুধবীর সিংরা। ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একজোড়া উইকেট তুলে নিয়ে সানরাইজার্স শিবিরে বড়সড় ধাক্কা দেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। জয়ের টার্গেট নাগালের বাইরে চলে না যাওয়ায় পরে ব্যাট হাতে ফিনিশিং টাচ দিতে অসুবিধা হয়নি প্রেরক মানকড়, মার্কাস স্টইনিস, নিকোলাস পুরানদের।
উপ্পলে লখনউয়ের ব্যাটসম্যানরা চার-ছক্কার ঝড় তুলে দাপুটে জয় এনে দেন দলকে। যদিও বল হাতে জয়ের ভিত গড়েন লখনউ দলনায়ক ক্রুণাল। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৫ রান খরচ করেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রথম ইনিংসের ১৩তম ওভারে পরপর ২ বলে ২টি উইকেট তুলে নেন।
১২.১ ওভারে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে হায়দরাবাদ দলনায়ক এডেন মার্করামকে পরাস্ত করেন ক্রুণাল। ফ্লাইটেড ডেলিভারিকে মার্করামকে ক্রিজের বাইরে টেনে আনেন পান্ডিয়া। মার্করামকে এড়িয়ে বল কুইন্টন ডি’ককের দস্তানায় চলে যেতেই স্টাম্প-আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এডেনকে।
ঠিক পরের বলেই (১২.২ ওভারে) ধ্বংসাত্মক মেজাজের গ্লেন ফিলিপসকে বোল্ড করেন ক্রুণাল। অবিশ্বাস্য স্পিনে ফিলিপসকে বোকা বানান তিনি। ক্রুণালের সেই ডেলিভারিটি স্পিনারদের কাছে স্বপ্নের ডেলিভারি হিসেবে বিবেচিত হবে নিশ্চিত। গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়েন গ্লেন। সুতরাং, সেট হয়ে যাওয়া মার্করাম ও সদ্য ক্রিজে আসা ফিলিপসকে ফিরিয়ে ক্রুণাল হায়দরাদার শিবিরে যে ধাক্কা দেন, তার ফলেই তারা ২০০ রানের গণ্ডি ছুঁতে পারেনি।