আইসিসির বার্ষিক ব়্যাঙ্কিং আপডেটে কপাল খুলল পাকিস্তানের। নতুন করে কোনও ম্যাচ না জিতেও তারা দলগত ওয়ান ডে ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে।
অস্ট্রেলিয়া যথারীতি এক নম্বরে অবস্থান করছে। তাদের রেটিং পয়েন্ট হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় সিংহাসন খোয়াতে হয়নি অজিদের। অন্যদিকে ভাগ্য খারাপ ভারতের। নিয়মের ফাঁদে আটকে আপাতত আইসিসির দলগত ওয়ান ডে ব়্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে নেমে যেতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।
বার্ষিক আপডেটের আগে অস্ট্রেলিয়া ১১৩ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে ছিল। ভগ্নাংশের তফাতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত। ১১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিল পাকিস্তান। বার্ষিক আপটেডের পরে ১১৮ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ১১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে পাকিস্তান ও ১১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে যায় টিম ইন্ডিয়া।
বার্ষিক আপডেটের পরে নতুন ব়্যাঙ্কিং নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের মে মাস থেকে ২০২২ সালে এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত ওয়ান ডে সিরিজের ফলাফলের ৫০ শতাংশ হিসেবের মধ্যে ধরা হবে। তার পরবর্তী সমস্ত ওয়ান ডে সিরিজের ফলাফল সম্পূর্ণ রূপে গৃহীত হবে হিসেব-নিকেশে।
আরও পড়ুন:- CSK vs DC: সময় থাকতে অক্ষরকে ব্যাট করতেই পাঠাল না দিল্লি, ডাগ-আউটে পন্টিং-সৌরভদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের ০-৪ ব্যবধানে ওয়ান ডে সিরিজ হার হিসেবের বাইরে চলে যাওয়ায় রেটিং পয়েন্ট বাড়ে পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে ২০২১ সালের ইংল্যান্ড সফরেও পাকিস্তানের ০-৩ ব্যবধানে হারা ওয়ান ডে সিরিজের গুরুত্বও অর্ধেক হয়ে দাঁড়ায় ব়্যাঙ্কিং নির্ধারণে। অন্যদিকে ভারতের রেটিং পয়েন্টে বড়সড় প্রভাব ফেলে এবছরই অস্ট্রেলিয়ার কাছে তাদের ১-২ ব্যবধানে ওয়ান ডে সিরিজ হার।
পাকিস্তান ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওয়ান ডে ব়্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠে আসে। পরে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচ হেরে ফের পিছিয়ে যান বাবর আজমরা। তবে পাকিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করতে পারত, তবে বার্ষিক আপডেটের পরেও তারা ওয়ান ডে ব়্যাঙ্কিয়ের এক নম্বরে থাকত।
আরও পড়ুন:- CSK vs DC: ‘সব বলে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা কোরো না’, অল্প রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে বোলারদের কড়া নির্দেশ ধোনির
বার্ষিক আপটেডেটের পরে আইসিসির দলগত ওয়ান ডে ব়্যাঙ্কিং:-
১. অস্ট্রেলিয়া- ১১৮ পয়েন্ট
২. পাকিস্তান- ১১৬ পয়েন্ট
৩. ভারত- ১১৫ পয়েন্ট
৪. নিউজিল্যান্ড- ১০৪ পয়েন্ট
৫. ইংল্যান্ড- ১০১ পয়েন্ট
৬. দক্ষিণ আফ্রিকা- ১০১ পয়েন্ট
৭.বাংলাদেশ- ৯৭ পয়েন্ট
৮. আফগানিস্তান- ৮৮ পয়েন্ট
৯. শ্রীলঙ্কা- ৮০ পয়েন্ট
১০. ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৭২ পয়েন্ট
১১. জিম্বাবোয়ে- ৫১ পয়েন্ট
১২. আয়ারল্যান্ড- ৪৭ পয়েন্ট