Shraddha Murder case: শ্রদ্ধা খুনে আদালতে আরও চাপে পড়লেন আফতাব,প্রেমিকার দেহের টুকরো রেখেছিলেন ফ্রিজে

Advertisement

দীপঙ্কর মালব্য

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মামলায় এবার আরও বিপাকে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট আফতাবের বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোপাটের চার্জ গঠন করেছে। তবে আফতাব অবশ্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তিনি ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছেন।

অতিরিক্ত সেশন জাজ মণীশা খুরানা কক্কর আফতাবের বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাটের চার্জ গঠন করেছেন। ভারতীয় দন্ডবিধিতে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।

এদিকে আফতাবকে সশরীরের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আফতাব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সবরকম চেষ্টা করেন।

এদিকে শুনানির সময় দিল্লি পুলিশ আফতাবের বিরুদ্ধে নানা ধরনের তথ্য় প্রমাণ হাজির করেছিল। সরকারি আইনজীবী অমিত প্রসাদ একটি ভিডিয়ো, অডিও কল হাজির করেছিলেন। সেটা আসলে শ্রদ্ধার অডিও কল। সেখানে তিনি মনোবিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে শ্রদ্ধাকে বলতে শোনা যাচ্ছে আমাকে খুঁজে বের করে খুন করে ফেলবে। তাদের সম্পর্কের মধ্য়ে কতটা হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেকথাও নানাভাবে প্রকাশ্য়ে এসেছিল।

দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল শ্রদ্ধাকে খুন করার পরে আফতাব শ্রদ্ধার মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও খরচ করত। আসলে সে বোঝানোর চেষ্টা করছিল যে শ্রদ্ধা বেঁচে আছে।

পুনাওয়ালার পক্ষে আইনজীবী অক্ষয় ভান্ডারি জানিয়েছেন, খুনের মামলার সঙ্গে প্রমাণ লোপাটের মামলা যুক্ত করা যায় না।

তিনি আদালতে জানান, আফতাব খুন করেছে এটা শুধু বলাটা ঠিক হবে না। কীভাবে এই খুন করা হয়েছিল সেটা বলতে হবে। এদিকে গত জানুয়ারি মাসে দিল্লি পুলিশ ৬,৬২৯ পাতার চার্জশিট পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে পেশ করে। কীভাবে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে প্রথমে খুন করা হয়েছিল, কীভাবে তার দেহ কেটে ফেলা হয় সবটাই উল্লেখ করা হয়েছিল চার্জশিটে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল পুনাওয়ালার তার ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলিকে ফ্রিজের মধ্যে তিন সপ্তাহ ধরে রেখে দিয়েছিল। পরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে সে ওই দেহের টুকরোগুলি ফেলে দেয়। পরে কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।