ED on Cattle Smuggling: গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতারির পালা এখনও শেষ হয়নি, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির

Advertisement

তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা গরু পাচার মামলায় এখন জেলে। এর আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সয়গাল হোসেনও জেলে গিয়েছেন। তদন্তকারীদের জালে জড়িয়েছেন পাচারকারী এনামুল হক, বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। ছাড় পাননি অনুব্রতর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিও। তবে এখানেই কী শেষ গরু পাচার কাণ্ডে দোষীদের তালিকা? ইডির তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, তদন্ত এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। গ্রেফতারির এখানেই শেষ নয়। আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হবে এই মামলায়। ইডির আইনজীবী নীতেশ রাণা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এই কথা জানিয়েছেন। এবং আদালতে ইডির আইনজীবীর এহেন মন্তব্যে জল্পনা বেড়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

এর আগে ইডি আদালতে জানিয়েছে, ভুয়ো ঋণ দেখিয়ে নিজের বেআইনি কারবার ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই ভুয়ো ঋণের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। তাঁরই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অনুব্রত এই ঋণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ইডি দাবি করে, মণীশ কোঠারির আত্মীয় মনোজ মেহেনত ২.৪ শতাংশ কমিশনে ভুয়ো ঋণের ব্যবস্থা করে দিতেন অনুব্রতকে। কালো টাকা সাদা করতে এই পথ বেছে নিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।

এদিকে ইডির আরও দাবি, গরু পাচারের থেকে প্রাপ্ত কালো টাকা কোথায় কী ভাবে খাটানো হবে তা ঠিক করতেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই। অনুব্রতর সিএ মণীশ কোঠারিই নাকি জেরায় ইডিকে এই কথা জানিয়েছেন। ইডি জানিয়েছে, টাকা পাচার হয়েছে এএনএম এগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড ও নীর ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। অনুব্রতকে এই ২ কোম্পানি কিনতে সাহায্য করেছিলেন মণীশের আত্মীয় মনোজ। উল্লেখ্য, এই এএনএম এগ্রোকেমের ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের নামে। আর সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে দেখানো হয়েছে অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে। এমনকী শিব শম্ভূ রাইস মিল ও ভোলে বোম রাইস মিল পরিচালনা করতেন সুকন্যাই।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।