ভয়াবহ ঘটনা কেরালার কোচিতে। অসমের বাসিন্দা এক ব্যক্তি কোচিতে কর্মসূত্রে গিয়েছিলেন। বয়স ৩৬ বছর। তার এক সহকর্মী পায়ুপথ দিয়ে কম্প্রেসর মেশিনের হাওয়া ভেতরে ভরে দিয়েছিলেন। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই শ্রমিকের। সোমবার পেরামবাভুর এলাকার ঘটনা। দুজনেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। মৃতের নাম মিন্টু। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। অভিযুক্তের নাম সিদ্ধার্থ। তার বাড়িও অসমে। দুজনে অসম থেকে কোচিতে কাজ করতে এসেছিলেন। পুলিশ সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় মামলা শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাইরে প্রচন্ড গরম। সেকারণে তারা একে অপরের দিকে কম্প্রেসরের হাওয়া দিতেন।কিন্তু তিনি আচমকা মিন্টুর পায়ুপথে ওই হাওয়া ভরে দেন।এরপরই অজ্ঞান হয়ে যায় মিন্টু। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
পুলিশ অভিযুক্তকে জেরা করছে। সে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করার জন্য এই কাজ করেছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
তবে এবারই প্রথম নয়। বার বার একই ধরনের ঘটনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। এর আগে আমেদাবাদে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের রেক্টামে এভাবেই কম্প্রেসরের হাওয়া দিয়েছিলেন। তারপর তার মৃত্যু হয়েছিল।পুলিশ এরপর তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল অতিরিক্ত হাওয়াতে তার শরীরের অভ্যন্তরের দেহাংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার জেরে মৃত্যু হয় তার। এটা ছিল গত বছরের ঘটনা।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেও এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুসারে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য তার সঙ্গী পেছনে এয়ার কম্প্রেসরের হাওয়া দিয়েছিল। তাতেই মৃ্ত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মৃতের নাম সুখরাম যাদব। বিনোদ ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল। দুজনেই ডালের কারখানায় কাজ করতেন। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা হয়েছিল তা নিয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছিল।