NCB officer part of Aryan Khan Case: আরিয়ান খান মামলার সঙ্গে যুক্ত অফিসারকে চাকরি থেকে বের করল NCB, কারণ কী?

Advertisement

শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মামলার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ স্থানীয় এক আধিকারিককে চাকরি থেকে সরিয়ে দিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। তবে জানা গিয়েছে, আরিয়ান খান মামলার জন্য তাঁকে চাকরি থেকে বের করা হয়নি। বরং গতবছর থেকেই অন্য একটি মামলায় তাঁর ওপর তদন্ত শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই সাসপেন্ড ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সার্ভিস থেকেই বের করে দিল এনসিবি। জানা গিয়েছে, সার্ভিস থেকে যে আধিকারিককে বের করে দেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম বিশ্ব বিজয় সিং। তিনি এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক ছিলেন। ২০২১ সালে কর্ডেলিয়া ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালানো কর্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।

২০২২ সালে বিজয়ের বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ ওঠে পৃথক একটি মামলায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজয়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। সেই তদন্ত সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে। এরপরই তাঁকে সার্ভিস থেকে বের করে দিয়েছে এনসিবি। এনসিপি প্রধান সত্য নারায়ণ প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে বিজয় সিংকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে বিজয় সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিচারাধীন।’

উল্লেখ্য, এর আগে জোনাল অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বাধীন মুম্বই অফিসের এনসিবি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া এবং সঠিক ভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ উঠেছিল আরিয়ান মামলায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও বিভাগীয় তদন্ত করে এনসিবি। সেই তদন্তের ভিত্তিতে মুম্বই অফিসের সাতজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে সেই তদন্তের ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ অক্টোবরের অভিযানের পর এনসিবি দাবি করেছিল, ১৩ গ্রাম কোকেন, পাঁচ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম গাঁজা, ২২টি এমডিএমএ ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। আরিয়ান খান, আরবাজ খান এবং মুনমুন ধামেচাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে এই মামলায় আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে ভিত্তি করে এনসিবি অভিযোগ করেছিল, আরিয়ান খান বৃহতত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

শাহরুখ পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, আরিয়ান বিদেশি মাদক পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং বিপুল পরিমাণে মাদক কিনেছেন। তবে পরবর্তীতে আদালতে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও সঠিক তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি সমীর ওয়াংখেড়েরা। পরে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছিল এই মামলায়। ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হলেও আরিয়ানকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। এদিকে সমীর ওয়াংখেড়েকে চেন্নাইয়ের ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিসে বদলি করে দেওয়া হয়।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।