বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আবারও জানিয়ে দিলেন বদলির নিময় মানতেই হবে শিক্ষকদের। না মানলে ছেদ পড়বে চাকরি জীবনে। তবে একই সঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ, বদলির নতুন নিয়ম নিয়ে প্রচুর মামলা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে। তাই বদলির নিয়মে কোনও ক্রটি রয়েছে কি না তাও জানতে চেয়েছে আদালত। সে কারণে, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশেই বদলির নতুন নিয়ম এনেছে রাজ্য সরকার। এর আগে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি নিতেন শিক্ষকরা। কিন্তু শিক্ষকদের একাংশ বদলির নতুন নিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, চাকরি দেওয়ার সময় একটি স্কুল বেছে নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাঁদের অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। শিক্ষকদের অভিযোগ এর ফলে অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা।
(পড়তে পারেন। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের জারি করা অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ)
মামলাতে বিচারপতি বসু বলেন,’পড়ুয়াদের পড়াশুনো নিয়ে চিন্তিত আদালত। স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখার জন্য নতুন বদলির নিয়ম আনা হয়েছে। যে স্কুলে পড়ুয়া বেশি শিক্ষক কম সেখানে কাউকে বদলি করলেই যেতে হবে।’ একই সঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য,’অন্য চাকরির ক্ষেত্রে বদলি নিয়ে সমস্যা হয় না, শুধু শিক্ষকরা কেন সুবিধামতো জায়গায় চাকরি করবেন।’ আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, বদলির নতুন নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
(পড়তে পারেন। এজলাস বদলালেও বদলাল না বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশ, অভিষেককে জেরা করতে পারবে CBI)
তবে এর পাশাপাশি শিক্ষকদের ক্ষোভের কারণও বুঝতে চাইছে আদালত। তাই পরবর্তী শুনানিতে এজিকে ডাকা হয়েছে নতুন নিয়ম ব্যাখ্যা করার জন্য।