Howrah Hooghly
oi-Dibyendu Saha

মামা-ভাগ্নে বা মামার বাড়ি শব্দটা প্রত্যেকের জীবনের সুখ স্মৃতি ও অনাবিল আনন্দের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এর পাশাপাশি অপরাধ জগতে অপরাধী ও পুলিশ অধিকারিকদের “মামা ও ভাগ্নে” নামের শব্দটিও ব্যাঙ্গার্থক রূপে সমাজে প্রচলিত। সেই মামা ও ভাগ্নের এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল রবিবারের হাওড়া স্টেশন।
রবিবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনের জিআরপি আধিকারিকরা রীতিমতো নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করলেন স্টেশনের ফুটপাতের বাসিন্দা গণেশ ভাগ্নের মুখে ভাত অনুষ্ঠান। সাবেকি বাঙালিয়ানার ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই রবিবার সপ্তাহের ছুটির দিনে জিআরপির উদ্যোগে মুখে ভাত হলো ছয় মাসের ছোট্ট গণেশের।

জানা গেছে, ছয় মাস আগে হাওড়া স্টেশনের ১ নম্বর গেটে হুগলির রিষড়ার নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা টুম্পা দাস ও রাজু দাসের সন্তানের জন্ম হয়। হুগলির বাসিন্দা হলেও পেশায় বোতল কুড়ানি টুম্পা ও রাজুর সংসার রয়েছে হাওড়া স্টেশন ফুটপাত চত্বরেই।
সারাদিনে যাত্রীদের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে যা আয় হয় তাতেই সংসার চলে এদের। ইতিমধ্যেই স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আরও পাঁচটি সন্তানের পর গণেশের জন্ম হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। এদিকে এই ছয় সন্তানকে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে টুম্পাকে।

এছাড়াও কখনও বোতল কুড়াতে গিয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে নিজের ও সন্তানদের বাঁচানোর অদম্য লড়াই করে আসছেন টুম্পা। যদিও জন্মের পর থেকেই হাওড়া জিআরপির আধিকারিকরা সদ্যজাত গণেশর প্রতি বাড়িয়েছিলেন স্নেহের হাত। আর সেই মানবিক আবেগের প্রতিফলনই এদিন দেখা গেল হাওড়া জিআরপি’র অফিসে।
নিজেদের হাতে থালায় ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ সহ একাধিক পদ সাজিয়ে এদিন নিজেরাই মুখে ভাত পালন করলেন গণেশের। হাওড়া জিআরপির মুখ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় ও হাওড়া ডনবস্কো আসাইলামের যুগ্ম তত্ত্বাবধানে পুলিশ মামা হয়ে উঠল গণেশর সত্যিকারের “মামা”। হলো ঘটা করে মুখেভাতের অনুষ্ঠান।
English summary
Ceremony of putting rice to Ganesh of Howrah footpath by Police Mama
Story first published: Sunday, May 7, 2023, 20:37 [IST]