ED Raid in Manappuram Finance Office: ১৫০ কোটি টাকার ‘অবৈধ’ লেনদেন, মনপ্পুরম ফিন্যান্সের ৪টি অফিসে হানা ED-র

Advertisement

গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নাম মনপ্পুরম ফিন্যান্স। এই সংস্থারই চারটি অফিসে বুধবার হানা দিল ইডি। সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। ইডি কর্তাদের দাবি, অর্থ তছরুপ এবং বেআইনি ভাবে নগদে লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত মনপ্পুরম ফিন্যান্স। এই আবহে কেরলের থিসুর সহ সংস্থার মোট চারটি অফিসে গতকাল হানা দেন ইডি কর্তারা। অভিযোগ, আরবিআই গাইডলাইন অমান্য করে গ্রাহকদের থেকে মোট ১৫০ কোটি টাকা বেআইনি ভাবে গ্রহণ করেছে মনপ্পুরম ফিন্যান্স। এই আবহে এই লেনদেন সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করতে এবং সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে অভিযান চালায় ইডি।

ইডির অভিযোগ, বিশাল পরিমাণে নগদ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত মনপ্পুরম ফিন্যান্স। এই আবহে আরবিআই গাইডলাইনের লঙ্ঘনের পাশাপাশি অর্থ তছরুপেরও গন্ধ পাচ্ছে তারা। এই আবহে নথি সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের বয়ানও রেকর্ড করে ইডি। এক একজন কর্তার বয়ানের সঙ্গে অন্য কর্তার বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই অভিযান প্রসঙ্গে মনপ্পুরম ফিন্যান্সের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে খারিজ করেনি সংস্থা।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে কেরলে ইডির গতিবিধি বেড়েছে। এর আগে বাইজু’স প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বাইজু রবীন্দ্রনের তিনটি অফিসে হানা দিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। বাইজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে তারা। তদন্তকারীদের দাবি, কোম্পানিটি ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোট ২৮ হাজার কোটি মূল্যের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বা এফডিআই পেয়েছে। এদিকে একই সময়ে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগের নামে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এদিকে বিদেশে বিজ্ঞাপনের নামে সংস্থাটি নাকি ৯৪৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দেশের বাইরে। তবে কোম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের ফিন্যানশিয়াল স্টেমেন্ট তৈরি করেনি এবং অডিটও করায়নি।

তদন্তকারী অফিসারদের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিজিটাল ডেটা হাতে এসেছে তাঁদের। সেই সব নথি এবং ডিজিটাল ডেটা ইডির তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের শুরুর থেকেই চাপে পড়েছে বাইজু’স। বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। এদিকে অনলাইন ক্লাসের চাহিদাও কমেছে। এর আগে দীর্ঘ ১৮ মাসের বিলম্বের পর অবশেষে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের রেজাল্টস প্রকাশ করেছিল বাইজু। তাতে দেখা গিয়েছে, সেই অর্থবর্ষে মোট ৪,৫০০ কোটি টাকার লোকসান করেছে বাইজু’স। দীর্ঘদিন ধরে অডিট না হওয়ায় যেসব ব্যাঙ্ক থেকে বাইজু’স ঋণ নিয়েছে, তারা হিসেব খতিয়ে দেখছে। এইসবের মাঝেই এইসবের মাঝেই বাইজু’স-এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করা হয় ইডির কাছে। তদন্তে নেমে একাধিকবার বাইজু রবীন্দ্রনকে তলবও করে ইডি। তবে তিনি একবারও ইডির মুখোমুখি হননি।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।