CM Biren Singh on Manipur Violence: মণিপুরে হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং, ফোনে কথা বললেন শাহের সঙ্গে

Advertisement

মণিপুরের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হল সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের। পাশাপাশি টুইটারে চার মিনিট লম্বা একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন বীরেন সিং। তিনি দাবি করেন, ‘সমাজের দুই অংশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই হিংসার ঘটনা’। এই আবহে তিনি শান্তি ফেরানোর আহ্বান করেন সবার কাছে। এদিকে আদিবাসীদের বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করায় মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা এবং অসম রাইফেলস। এদিকে হিংসা কবলিত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ করছেন সামরিক আধিকারিক এবং জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা।

বীরেন সিং ভিডিয়ো বার্তায় আজ বলেন, ‘গত প্রায় ২৪ ঘণ্টায়, ইম্ফল, চুরাচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর, কাংপোকপি এবং মোরেহতে সংঘর্ষ, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কিছু ঘটনা ঘটেছে। অনেক সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সমাজের দুটি অংশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ফলে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে। আমরা আমাদের রাজ্যের বাসিন্দাদের জানমাল রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দীর্ঘমেয়াদী অভিযোগগুলিকে যথাযথভাবে সমাধান করা হবে। আমি আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। গুজবে কান দেবেন না। শান্তি বজায় রাখার জন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মণিপুরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক করে তুলতে হবে। এর জন্য আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’

উল্লেখ্য, ইম্ফাল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈতেই জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা। এই আবহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল বুধবার। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। এর আগে এই জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে আদিবাসী বনাম মৈতেইদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়েছে অন্য জেলাতেও। এই আবহে রাজ্যের আট জেলায় জারি হয়েছে কার্ফু। বন্ধ হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

গতকাল চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই হিংসার আগুন জ্বলতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়েছিল। এই ঘটনার পর ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাঞ্চিপুর এবং ইম্ফল পূর্বে সোইবাম লেইকাইতে মৈতেই জনজাতির মানুষজন আদিবাসীদের ওপর হামলা করার জন্য পথে নামে। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আদিবাসীদের সেই এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেনার মদতে। যাতে নতুন করে অঞ্চলে অশান্তি না ছড়ায় এর জন্য সেনা এবং অসম রাইফেলকে মোতায়েন করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।