West Bengal
oi-Bahni Sanyal Dutta

শুভেন্দু অধিকারীর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি মান্থা। মামলাগুলি দ্রুত শুনানি হচ্ছে না বলে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করে। কিন্তু শীর্ষ আদালত মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ না করে হাইকোর্টকে দ্রুত মামলা শুনানির পরামর্শ দেয়।
এদিন শুনানির শুরুতেই বিচারপতি মান্থার বক্তব্য, ‘কেনো শুধু এই কোর্টে? অন্য যে কোনো কোর্ট যে কোনো মামলা থেকে সরে দাঁড়ালে, এই কোর্টে ই কেন মামলা দেওয়া হচ্ছে! এখন তো ৫৩ জন বিচারপতি আছেন। যে কোনো কোর্ট এই মামলা শুনতে পারে। এই এজলাসে দীর্ঘ শুনানি করার সময় নেই।’

আদালত মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে গিয়ে লিখিত ভাবে জানায়, সুপ্রিম কোর্টে এমন ভাবে আবেদন করলো সরকার, যেনো আবেদনকারীর জন্য শুনানিতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু এই কোর্ট দেখছে, কোনো পক্ষই এই মামলা দ্রুত শুনানি করাতে আগ্রহী নয়। তাই এই মামলা থেকে এই আদালত সরে দাঁড়ালো।
প্রসঙ্গত এর আগে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি পার্থ সারথি সেন। তখন প্রধান বিচারপতি সেই মামলাগুলো পাঠান বিচারপতি মান্থার এজলাসে। বিচারপতির মান্থার দেওয়া রক্ষা কবচের কারণেই শুভেন্দু অধিকারী যা খুশি তাই করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত এর আগে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি পার্থ সারথি সেন। তখন প্রধান বিচারপতি সেই মামলাগুলো পাঠান বিচারপতি মান্থার এজলাসে। বিচারপতির মান্থার দেওয়া রক্ষা কবচের কারণেই শুভেন্দু অধিকারী যা খুশি তাই করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে রাজ্য। গতকালই কলকাতা পুলিশ কমিশনার শুভেন্দু অদিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কোনও অভিযোগ এবং মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না কারণ রাজ শেখর মান্থার দেওয়া রক্ষা কবচ। এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
কয়েকদিন আগে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নামে পোস্টার দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তাঁর যোধপুর পার্কের বাড়ি থেকে শুরু করে হাইকোর্ট চত্ত্বর সর্বত্রে বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। তাতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষ পাতিত্বের অভিযোগ করা হয়েছিল। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বার কাউন্সিল পর্যন্ত রাজশেখর মান্থার নামে পোস্টার দেওয়ার ঘটনার তদন্তে তৎপর হয়েছিল।

এদিকে আজ পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ রাজ্য। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
একসপতাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলা আবার হাইকোর্টে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের। পাশাপাশি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের তরফে সওয়াল করা হয়, কেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না সিবিআই ? কন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুটি মামলারই শুনানি আগামী সোমবার।
English summary
Justice Mantha not hear two case of Suvendu Adhikary