হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানার এবং অন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইন বেটিং, জুয়ার প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। এগুলি রোধ করার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
বিকিউ প্রাইমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, অনলাইন বেটিং এবং জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলি বর্তমানে হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানার ইত্যাদি মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। আরও পড়ুন: বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন, কড়া নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের
এর আগে ২০২২ সালের জুনে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়াতে অনলাইন বেটিং এবং জুয়া খেলার ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
গত অক্টোবরে এবং চলতি বছরের এপ্রিলে, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের সারোগেট বিজ্ঞাপন রোধ করার নির্দেশিকা জারি করেছিল।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্য অনলাইন বেটিং এবং জুয়া খেলার বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। তামিলনাড়ু সম্প্রতি টাকা লাগিয়ে বাজি ধরা যাবে, এমন অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করেছে। অনলাইন জুয়ার প্রচার করে বিজ্ঞাপন প্রদানও নিষিদ্ধ করেছে সেই রাজ্য।
কেন্দ্রীয় সরকার যদিও কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে একটি নিয়ন্ত্রক পদ্ধতিতে হেঁটেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। প্রচারকারী, প্রকাশক সংস্থাগুলির হাতেই অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন না গ্রহণ করার দায় ন্যস্ত করেছে কেন্দ্র।
গত বছর নভেম্বরে এই মর্মে গুগল ইন্ডিয়াকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাতে এই বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে অবিলম্বে সমস্ত বিজ্ঞাপন সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়। সমস্ত ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপনও সরিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে দেশের ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের পোর্টালেও এই ধরনের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
ক্রমেই বহু ভারতীয় এমন অনলাইন বেটিং সংস্থাগুলির খপ্পরে পড়ছেন। সেখানে আসক্ত হয়ে টাকা হারাচ্ছেন তারা। এদিকে খেলার নাম করে এবং শুরুতেই ঝুঁকির কথা জানিয়ে দিয়ে আইনি পদক্ষেপের সুযোগও দিচ্ছে না এই অ্যাপগুলি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাপগুলির ভারতে কোনও সার্ভার, অফিস, প্রতিনিধি নেই। ফলে কেউ বিপুল টাকা হারালে এবং মামলা করলেও পুলিশের পক্ষে সংস্থাগুলির নাগাল পাওয়া কঠিন। অল ইন্ডিয়া গেমিং ফেডারেশন (AIGF)-এর অনুমান অনুযায়ী, প্রতি মাসে ভারতে এই সংস্থাগুলির একাধিক দালালের অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার কোটি টাকা করে জমা হচ্ছে। তবে, এই টাকা শেষমেশ কোথায় যাচ্ছে বা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই সম্পর্কে কোনও স্বচ্ছতাই নেই। আরও পড়ুন: IPL betting in Kolkata: IPL শুরু হতেই সক্রিয় বেটিং চক্র! কড়া নজরদারি লালবাজারের