মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে, তারপরে জুতোপেটা! স্বামী নোবেলের কাণ্ডে মুখ খুললেন স্ত্রী || Drunk on stage, then shoehorned in! The wife opened her mouth on husband Nobel’s case – News18 Bangla

Advertisement

নোবেল আর বিতর্ক যেন একে অপরের সমার্থক। একের পর এক বিতর্কে নানা সময় নাম জড়িয়েছে তাঁর। কখনও মদ খেয়ে মাতলামি তো কখনও দুর্ঘটনা আবার কখনও রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে বিতর্কত মন্তব্য। ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরা পর থেকেই নানা কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন বাংলাদেশের সংগীতি শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। আবারও বিতর্কে নাম জড়ালেন গায়কের। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় স্টেজে গান গাইতে উঠেন তিনি। সেই সময় দর্শকরা তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন। তাঁর এই ঘটনার পর পরই নোবেলের স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আচরণের ব্যপারে লেখেন। তিনি জানান এটি আসলে তাঁর মানসিক সমস্যা।

পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত রিয়্যালিটি শো থেকে নোবেল জনপ্রিয়তা পান। তারপর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে হঠাৎ করেই জড়িয়ে পড়তে থাকেন নানা বিতর্কে। কখনও ব্যক্তিগত সমস্যা আবার কখনও পেশাগতবিতর্কের কারণে তিনি উঠে এসেছেন শিরোনামে। আর এবার গত বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলেন নোবেল। সেখানেই মঞ্চে উঠে মদ্যপ নোবেল অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন। প্রথমে মঞ্চে উঠে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: জনপ্রিয়তা হারিয়েই কি কমছে টিআরপি? ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ নিয়ে মুখ খুললেন দিব্যজ্যোতি

তারপর হঠাৎ চিৎকার শুরু করেন “আমার চশমাটা কই” বলে। তারপর চশমা পেয়ে চোখে পরে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি শুরু করেন। বেসুরো গলায় কিছুটা গেয়েই মাইকের স্যাণ্ড ভাঙতে শুরু করেন। তাঁর এই আচরণ দেখে দর্শকরাও ক্ষেপে ওঠে। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো, জলের বোতল ছুঁড়তে শুরু করেন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কার প্রেমে পড়েছেন পর্দার ‘জগদ্ধাত্রী’? জানালেন স্বয়ং অঙ্কিতা

সেদিনের এই ঘটনা খুব দ্রুত নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর তাঁকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা লেখালিখি শুরু হয়। তার মধ্যেই গায়কের স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় নোবেলকে নিয়ে লেখেন।

তিনি জানান এই সমস্যা শারীরিক। তিনি একটি পোস্টের মাধ্যমে লেখেন ‘সকাল থেকে শুরু করে ডজন খানেক নিউজ । সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তো মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো l কিন্তু সমস্যাটা মানুষিক তাও আবার মাদক ঘটিত। যেরকম মানুষ নোবেল কোনও দিনই প্রথম থেকে ছিল না । এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা শো তে যাবার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া । রিয়্যালিটি শো  চলাকালীন সময়ে পুরো শ্যুটিং-এ ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সঙ্গে অমায়িক ব্যাবহার । আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না । নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।”

Published by:Sayani Rana

First published:

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।