উত্তর কলকাতায় স্বামীজির জন্মভিটে মুড়ছে সিসিটিভিতে, কেন এমন পরিকল্পনা?

Advertisement

এবার উত্তর কলকাতার সিমলায় স্বামীজির জন্মভিটে মুড়তে চলেছে সিসিটিভি দিয়ে। এমনকী অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত অডিটোরিয়াম এবার মুড়ছে পুরোপুরি সিসিটিভি নজরদারিতে। তাই যাবতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এতদিন এসবের বালাই ছিল না। সেখানে হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন সিসিটিভি দিয়ে মোড়া হচ্ছে স্বামীজির জন্মভিটে এবং অডিটোরিয়াম?‌ যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।

কেমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে?‌ এখানে গোটা জন্মভিটেয় এবং অডিটোরিয়ামে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন পরিচালিত ওই জন্মভিটার সম্পাদক স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ এই বিষয়ে বলেন, ‘‌স্বামীজির জন্মভিটে জুড়ে যে সমস্ত স্থানে সিসিটিভি নেই, সেখানে সিসিটিভি নজরদারিতে আনা হচ্ছে। এই জন্মভিটের পোশাকি নাম রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক আবাস ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে ওই অত্যাধুনিক ত্রিতল অডিটোরিয়াম। যার আসন সংখ্যা ৯০০। গ্রাউন্ড ফ্লোর ছাড়া বাকি দুটি তলও সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। আগামী দিনেও ওই তলটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি তলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই জন্মভিটে ও অডিটোরিয়ামে সংস্কার এবং সংরক্ষণের জন্য সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা না পাওয়া গেলে মিশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ করে ঠাকুর–মা–স্বামীজির জন্মদিন–সহ নানা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। এই জন্মভিটের অডিটোরিয়ামে নানা ধর্মীয় আলোচনা, সেমিনার, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকেন প্রচুর মানুষ।

কেন সিসিটিভি দিয়ে মোড়া হচ্ছে?‌ একানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতেই আগাম সতর্কতা হিসেবে সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখানে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে সংগ্ৰহশালা। রোজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী ওই সংগ্ৰহশালা দর্শন করতে আসেন। এখানে তৈরি হয়েছে নিবেদিতা ভবন। সেখানে চলে কোচিং সেন্টার ও দাতব্য চিকিৎসালয়। স্বামী বিবেকানন্দ বিষয়ক নানা গবেষণামূলক কাজেও ব্যবহার করা হয় ভবনটিকে। এমনকী চলে যোগ প্রশিক্ষণও। ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড: এপিজে আবদুল কালাম এই কেন্দ্রটির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০০৯ সালে রাজ্য সরকার হেরিটেজ বিল্ডিং স্বীকৃতি দেয় এই ঐতিহাসিক ভবনকে।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।