রাত ২টোয় বাড়ি এসে, ভোর ৫টায় অনুশীলনে নেমে পড়েছি- ফিটনেস নিয়ে মুখ খুললেন সরফরাজ – I got back home at 2AM in the night and at 5AM was back on the ground

Advertisement

সরফরাজ খান ভারতীয় ক্রিকেটে একটি বিরল প্রতিভা। তবে তিনি রানের পাহাড় গড়লেও, ভারতীয় দলে উপেক্ষিত হয়েই থেকে যান। চার ম্যাচের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির জন্য টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট স্কোয়াডে সরফরাজ খান জায়গা না পাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক বেড়ে চলেছে। ইশান কিষাণ এবং সূর্যকুমার যাদবকে টিম ইন্ডিয়ার দলে রাখা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। বেঙ্কটেশ প্রসাদ, সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সোশ্যাল মিডিয়া এবং তাঁদের কলামের মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছিলেন।

ইন্ডিয়া টুডেকে গাভাসকর বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি শুধু রোগা, ছিপছিপে চেহারার ছেলে খোঁজেন, তা হলে ফ্যাশন শো’তে চলে যান। কয়েক জন ভালো মডেল খুঁজে এনে তাঁদের হাতে ব্যাট-বল ধরিয়ে দিন। তাঁদের ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তুলুন। এই ভাবে ক্রিকেট এগোতে পারে না। আমাদের কাছে সব আকারের এবং মাপের ক্রিকেটার আছে। চেহারা দেখে ক্রিকেটারদের বেছে নেওয়া ঠিক নয়। রান এবং উইকেট সংখ্যা দেখে বিচার করা উচিত। শতরান করার পরেও মাঠের বাইরে বসে থাকছে না ও। আবার মাঠে নামছে। সব কিছু করছে। এর থেকেই বোঝা যায়, ওর ফিটনেসের সমস্যা নেই।’

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী শিপলি,মাত্র ৭৬ রানে গুঁড়িয়ে গেল লঙ্কা,কেনিয়াকে ছাপিয়ে গড়ল লজ্জার নজির

জানুয়ারির পর থেকে এই নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। সমালোচনা-আলোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে এই প্রথম বারের মতো এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। ২০২৩ আইপিএল শুরুর আগে তিনি বলেছেন, ফিটনেসের ক্ষেত্রে তিনি অতিরিক্ত সতর্ক। সরফরাজ একটি সাধারণ দিনেই ছ’জন ভিন্ন বোলারের বিরুদ্ধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং করে থাকেন। যার থেকে প্রমাণিত হয়, তাঁর ফিটনেস ঠিক আছে। এর মধ্যে সরফরাজ দিল্লি ক্যাপিটালসের তরফে আয়োজিত একটি ফিটনেস ক্যাম্পেরও অংশ ছিলেন।

আরও পড়ুন: ব্যাটারের পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার, প্রথম শুনলাম- শ্রেয়সকে নিয়ে মুখ খুললেন জাদেজা

সরফরাজ স্পোর্টসইয়ারিকে বলেছেন, ‘ফিটনেস সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং আমি নিজের সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করছি। যে দিন আমি শেষ রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলেছিলাম, সে দিন রাত ২টোয় বাড়ি ফিরে, পরদিন ভোর ৫টায় মাঠে ফিরেছিলাম। তাই আমার গ্রাউন্ড ফিটনেস ঠিক রয়েছে। এবং যখন দৌড়ানোর কথা আসে, আমি রঞ্জি বা আইপিএলের সময়ে সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করি। দিল্লিতে সম্প্রতি ডিসি ১৪ দিনের জন্য একটি ফিটনেস ক্যাম্প পরিচালনা করেছিল। আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি বর্তমানে যে ফর্মে আছি তাতে মনোনিবেশ করছি, নিশ্চিত করছি যে, আমি যতক্ষণ সম্ভব লড়াই চালিয়ে যাব। আমি এটি করছি, কারণ আপনি যখন আপনার ফর্ম হারিয়ে ফেলেন, তখন এটি এত সহজে ফিরে আসে না। প্রায়ই এটি ঘটে যে, এক জন খেলোয়াড় দেরীতে ছন্দে ফিরল। উদাহরণ হিসেবে সূর্যকুমার যাদবের কথা ধরুন। ও একজন দুর্দান্ত বন্ধু, আমরা একে অপরের সাথে দক্ষতার বিষয়ে কথা বলতে থাকি এবং আমরা দু’জনেই শক্তিশালী সুইপ শট খেলি। তাই ও যেমন দেরীতে শুরু করেছে, ও কিন্তু টানা ভালো ফর্মে আছে। তাই আমি আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে চাইব। তবে এই ফর্ম ধরে রাখাই মূল বিষয়।’

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।