Go Back Slogan: কোচবিহারে বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা, গো–ব্যাক স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের

Advertisement

কোচবিহারে আজ, রবিবার বিজেপি বিধায়ককে কালো পতাকা দেখানো হয়। গো–ব্যাক স্লোগান তুলে শোরগোল ফেলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। আজ সকালে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারিতে বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে গিয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বলে খবর। এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগেই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী– সমর্থকরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান এবং গো–ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। স্বভাবতই এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায় যদিও পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকেই সরিয়ে দেন।

এই ঘটনা শুরু হতেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপি বিধায়কের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সারা জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আর সে কারণেই তারা বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। যদিও আগে দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার সকলেই কালো পতাকা দেখেছেন এবং তাড়া খেয়েছেন মানুষের। এবার তৃণমূল কংগ্রেস সেটা করল। কারণ কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক?‌ এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক বেশ চমকে যান। এভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। তাই কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‌রবিবার সকালে বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে যখন আমি যাই তখন কর্মসূচি চলা অবস্থায় তৃণমূলের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে কালো পতাকা দেখান। আর গো–ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি তারা অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, আমাদের উপর আক্রমণ হতে পারত। এই অবস্থায় আমি কোতোয়ালি থানায় ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে সরিয়ে দেন। আসলে লোকসভা এবং বিধানসভা উভয় নির্বাচনে এই বুথে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। সারা জেলা জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।’‌

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? বিধায়‌কের দাবির পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি জ্যোতির্ময় দাস। তিনি বলেন, ‘‌বিজেপির বিধায়ক মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি অথচ কোনদিনও তাঁকে এলাকার মানুষ দেখতে পায় না। তাই তিনি জনরোষের শিকার হয়েছেন। একবছর আগে সুটকা বাড়ি অঞ্চলে ঝড় হয়। তখনও তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়নি। ফলে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা মেলেনি। তাই নিয়েই জনরোষের মুখে পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক।’‌

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।