সাগরদিঘিতে তৃণমূলের হারের কারণ কী? জেলাওয়াড়ি প্রথম বৈঠকেই বিস্ফোরক মমতা | সাগরদিঘিতে জয় পেতে টাকা ছড়িয়েছে বিরোধীরা অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Advertisement

Advertisement

সাগরদিঘিতে টাকার খেলা

সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে শাসক দলের প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে হেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় ছিলেন। এই হারকে একেবারেই সহজ ভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হারের কারণ অনুসন্ধানে টিম গঠন করে দিয়েছিলেন। তারপরে জেলাওয়াড়ি প্রথম বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন সাগরদিঘিতে টাকার খেলা হয়েছে। টিএমসির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে।

অধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস জয়ী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন ভোটে জিততে অধীর চৌধুরী আরএসএস-এর হয়ে কাজ করছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ে বিজেপিও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। এবং ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীকে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছিল। সেথেকে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটের জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।

সাগরদিঘি নিয়ে কড়া বার্তা

সাগরদিঘি নিয়ে কড়া বার্তা

সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকা সাগরদিঘি। ভোটারদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সাগরদিঘিতে মূলত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। দলের নেতারাই দলের প্রার্থীতে আপত্তি জানিয়েছিল। সেকারণেই বড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংখ্যা লঘুরা কেন ভোট দিলেন না তাঁদের তাই নিয়ে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগরদিঘিতে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নতুন জোটের জল্পনা

নতুন জোটের জল্পনা

সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয়কে কেন্দ্র করে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বায়রণ বিশ্বাসের জয়ের পর বিজেপি শিবিরে নতুন জোটের সুর শোনা যাচ্ছিল। তাতে সায় ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে সব রাজনৈাতিক দলের একজোট হওয়া জরুরি। সেই সুরে সুর মিলিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।