মমতার ভার্চুয়াল বৈঠক
সাগরদিঘিতে বড় ব্যবধানে হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বেশ কয়েক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙনও দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতির পর্যালোচনায় এদিন ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ-বিধায়ক-সহ ছয় নেতা। ফোনের লাউডস্পিকার অন করে প্রায় ১৯ মিনিট মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনানো হয়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে তিনি মুর্শিদাবাদে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

মমতার নিশানায় অধীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার মধ্যে অনেকটা অংশ জুড়ে ছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, আরএসএস- সিপিএম-এর সঙ্গে পরিকল্পনা করে সাগরদিঘিতে ভোট করেছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে বিজেপির একনম্বর লোক বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাগরদিঘিতে অনৈতিক লড়াই হয়েছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন।

মমতাকে পাল্টা দিলেন অধীর
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দিদিকে ঠিক জায়গায় আঘাত করতে পেরেছেন আর এই আক্রমণে তিনি তৃপ্তি বোধ করছেন। তিনি বলেছেন, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিজেপিকে ডেকে এনেছিলেন। তাদের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াই করেছিলেন এবং সরকারে অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৩ সালে আরএসএস-এর সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন জানান অধীর। বর্তমান সময়ে বিরোধী জোট যাতে না হয়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর হয়ে দালালি করছেন বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো তাড়ানো হবে তৃণমূলকে
এদিন অধীর চৌধুরী বলেছেন, সাগরদিঘি জয় করে দিদির গায়ের জ্বালা ধরিয়েছি। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বলে কিছু ছিল না, সেই মতো জেলা থেকে তৃণমূল দলকে উঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জেলায় অনুপ্রবেশকারী তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার জন্য মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে যেমন তাড়ানো হয়েছিল ঠিক মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও তৃণমূল দলকে তাড়ানো হবে, বলেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলছেন, বসে কবিতা লিখুন, এ রাজ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে তৃণমূলকে উচ্ছেদ করার অভিযান তারা শুরু করে দিয়েছেন।