জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক মমতার
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি তিনবারের জেতা আসনে হার কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। ৫০ হাজার ভোটে দেড় বছর আগেই জিতেছেন যে আসনে, সেখানে ২৩ হাজার ভোটে হারতে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীরা কাছে। তাই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এদিন বৈঠকে বসলেন মমতা।

মুর্শিদাবাদে কী হচ্ছে। কেন ভাঙন?
দলের ১৯ জন বিধায়ক ও দুই সাংসদকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের দলীয় অফিসে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলিফোনিক বৈঠকে দলে ভাঙনের প্রশ্ন উঠলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। জানতে চান, মুর্শিদাবাদে কী হচ্ছে। কেন ভাঙন, একটা ভোটে হেরেই কেন এই পদস্খলন!

সাংসদদের সম্মানহানি হয়েছে!
তিনি এদিনে টেলিফোনে লাউডস্পিকার অন করে ২৫ মিনিট ক্লাস নেন। অপর প্রান্তে মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সায়নি সিংহ রায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ফোনের লাউডস্পিকার অন করে বৈঠক চলে। প্রথমেই খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের নিয়ে বাজে খবর করা হচ্ছে। তার ফলে আমাদের সম্মানহানি হয়েছে।

তৃণমূল সাংসদদের অধীর-যোগ প্রশ্নে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি মিলে এই চক্রান্ত করেছে। আমি কোনো কিছুই তোমাদের সেইভাবে বলিনি। অথচ এক শ্রেণির মিডিয়া এই কাজ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার দুই তৃণমূল সাংসদ অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন বলে অভিযোগ করেন মমতা, এমন খবর রটে।

দুই সাংসদ মমতার রোষানল প্রশ্নে
কালীঘাটের শীর্ষ বৈঠকে তৃণমূলের দুই সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষানলে পড়ে বলে খবরে প্রকাশ। তা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস থেকেই তো ওঁরা গিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ থাকতেই পারে, এই বলে জল্পনা উসকে দেন।

ভাঙন রুখতে কমিটি তৃণমূলের
এরপর মমতা বলেন, আমি শীঘ্রই মুর্শিদাবাদের যাবো। বহরমপুরে সভা করবেন তিনি। আর সেই সভায় যে অধীর চৌধুরীকেই তিনি নিশানা করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন খলিলুর রহমান, আবু তাহের ও জাকির হোসেনকে নিয়ে একটা কমিটি গঠন করে দেন তিনি। দলকে সঙ্ঘবদ্ধ রাখতে তাঁরা কাজ করবেন।

মুর্শিদাবাদে একের পর এক ভাঙন
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর মুর্শিদাবাদে একের পর এক ভাঙন নেমে আসছে। তৃণমূলে ফাটল চওড়া হচ্ছে। এই ফাটল রুখতে হবে। শনিবারই খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের নেতৃত্বে ৬ হাজার নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়। এছাড়া বিজেপি নেতা-কর্মীরাও কংগ্রেসে ফিরে আসেন বলে দাবি।