Gujarat Conman in J&K as PMO Official: ‘আমার স্বামী…’, মোদীর নামে কাশ্মীর প্রশাসন ঘোল খাওয়ানো জালিয়াতের আসল পরিচয় কী?

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর অফিসের আধিকারিক সেজে গোটা প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে জেড প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে কাশ্মীর ঘুরেছিলেন গুজরাটের এক জালিয়াত। পরে পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ধৃতের নাম কিরণ ভাই প্যাটেল। এবার কিরণের স্ত্রী মালিনী প্যাটেল মুখ খুললেন। নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন মালিনী। তাঁর দাবি, ‘আমার স্বামী কোনও ভুল করতেই পারেন না।’ মালিনী ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘আমার স্বামী একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং আমি একজন ডাক্তার। আমার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন আর কিছুই নয়। তিনি কোনও অন্যায় করেননি। সেখানে আমাদের আইনজীবী বিষয়টি দেখছেন। আমার স্বামী কখনও কারও সাথে অন্যায় করবেন না। আমি আর মন্তব্য করতে পারছি না।’ (আরও পড়ুন: ৩০টি মার্কিন শহরকে ‘চুনা লাগাল’ নিত্যানন্দের কৈলাস, চাঞ্চল্যকর দাবি রিপোর্টে)

জানা গিয়েছে, কিরণ ভাই প্যাটেল নিজেকে পিএমও-র আধিকারিক পরিচয় দেয়। তার দাবি, পিএমও-র ‘স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ক্যাম্পেন’ বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে রয়েছে সে। চলতি বছরের শুরুর দিকে কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে ‘বৈঠক’ পর্যন্ত করেন কিরণ ভাই প্যাটেল। পরে অবশ্য সত্যিটা সামনে চলে আসে। জানা গিয়েছে, অন্তত দশ দিন আগেই কিরণ ভাই প্যাটলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট কিরণ ভাই প্যাটেলকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠালে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিকে গ্রেফতারির দিনই কিরণ ভাই প্যাটেলের নামে এফআইআর করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: IMF থেকে ঋণ পেতে পাকিস্তানকে ছাড়তে হবে পারমাণবিক কর্মসূচি, কী বলছে ইসলামাবাদ?

জানা গিয়েছে, কাশ্মীর সফরের সময় কিরণ ভাই প্যাটেলের সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী থাকতেন। এদিকে বুলেটপ্রুফ মহিন্দ্রা স্কর্পিও এসইউভি গাড়িও দেওয়া হয়েছিল তাকে। সরকারি টাকায় পাঁচ তারা হোটেলেও রাত্রি যাপন করেন তিনি। এদিকে দেখা গিয়েছে, কিরণ ভাই প্যাটেলের টুইটার অ্যাকাউন্ট ‘বেরিফাইড’। সেখানে হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছেন। এমনকি গুজরাট বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপসিং ভাগেলাও তাকে ফলো করেন। তার টুইটার বায়োতে ​​কিরণ দাবি করেছে, সে ভার্জিনিয়ার কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি, আইআইএম ত্রিচি থেকে এমবিএ এবং কম্পিউটার সায়েন্সে এমটেক এবং বিই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে। প্যাটেল নিজেকে ‘চিন্তাবিদ, কৌশলবিদ, বিশ্লেষক এবং প্রচারাভিযান পরিচালক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

জানা গিয়েছে, কিরণ প্রথমবার ফেব্রুয়ারিতে উপত্যকায় যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। তাতে দেখা গিয়েছে যে সে মিলিটারি ভ্যানের কনভয়ের সঙ্গে ভ্রমণ করছে। প্যারামিলিটারি গার্ডরা তার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। শ্রীনগরের লালচকের ক্লক টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দিতেও দেখা গিয়েছে তাকে। জানা গিয়েছে, তার দ্বিতীয় কাশ্মীর সফরে প্রশাসন সতর্ক হয়ে যায়। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর কিরণের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ হয়। পরে মার্চ মাসে তাঁর তৃতীয় সফরের সময় শ্রীনগরে এক হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় কিরণকে। এদিকে জালিয়াতি বুঝতে না পারায় দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরদিকে গুজরাট পুলিশও এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

 

 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।