সদ্য শেষ হয়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ পকেটে তুলে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে দুই দল। তবে পুরো সিরিজের শেষে দেখা গেল গল্পে মাতলেন দুই দলের খেলার। একে অপরকে তুলে দিলেন জার্সি, ব্যাট ইত্যাদি। সেখানে মাঠের একধারে বেশ অনেক সময় ধরে কথা বলতে দেখা যায় ম্যান অফ দ্য সিরিজ রবীন্দ্র জাদেজা এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাট কুনম্যানকে।
২০২১ সালে শেফিল্ড শিল্ড খেলায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাট কুনম্যানকে তাঁর কুইন্সল্যান্ড সতীর্থরা ‘জাড্ডু’ ডাকনাম দেয়। ম্যাচ শেষে ২৬ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার কাছ থেকে তাঁর মাস্টারক্লাস নেন। প্রায় ১৫ মিনিট তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়। নিজের আদর্শ ক্রিকেটারকে সামনে পেয়ে ছাড়তে চাননি অস্ট্রেলিয়ার এই বোলার। ম্যাট কুনম্যানকে দিল্লি টেস্টের পরই তাঁর রোল মডেল জাদেজাকে কিছু টিপস দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন ‘স্যার জাড্ডু’ জানান সিরিজ শেষ হওয়ায় পর তিনি ম্যাটের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই অনুযায়ী তারা কথা বলেন।
জাদেজার সঙ্গে কথা বলার পর ম্যাট জানান, ‘সম্ভবত ১৫ মিনিট ধরে আমাদের কথা হয়েছে। জাদেজা আমাকে কয়েকটি অসাধারণ টিপস দিয়েছে। প্রায় সব কিছু নিয়েই আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। নাথান আমাদের কথা বলাতে সাহায্য করেছে। জাদেজা টড, লিয়ন এবং আমার পারফরম্যান্সে খুবই সন্তুষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরেরবার উপমহাদেশের উইকেটে খেলার জন্য অনেক ভালো টিপস দিয়েছে জাদেজা। অস্ট্রেলিয়ায় কেমন ভাবে খেললে উইকেট পাওয়া যাবে সেই টিপসও দিয়েছে সে। জাদেজা অসাধারণ ক্রিকেটার। যে কোনও বিষয়ে প্রয়োজন পড়লে যোগাযোগ করতে বলেছে সে। একটা অসাধারণ সময় কাটিয়েছি আমি।’
এই অজি ক্রিকেটার আরও যোগ করেন, ‘নাথান লিয়ন ও টড আমাকে নিজেদের ছায়া সঙ্গী করে নিয়েছে। এই সিরিজের বড় ভাইয়ের মতো আমাকে আগলে রেখেছে ওরা। আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, কারণ ওদের থেকে এই সিরিজে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি আমার বোলিংকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করব। সঙ্গে আরও বেশি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব।’
অজিবোলার তিনটি টেস্টে ৯টি উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে ইন্দোরে ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। কুনম্যান, নাথান লিয়ন এবং টড মার্ফি মিলে তিন স্পিনারের যে জাল বিছিয়েছিল অজিরা, সেটা কাটতে কালঘাম ছুটে যায় ভারতের। ম্যাচের শেষে রাহুল দ্রাবিড় বলেন যে প্রায় দশ বছর আগে সোয়ান, প্যানেসর যেভাবে বেগ দিয়েছিল, তারপর এই প্রথমবার কোনও দলের স্পিনাররা ভারতকে এতটা চাপের মুখে ফেলল।