রিসর্টের কর্মীই ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল পর্যটকদের উপর! রক্তারক্তি কাণ্ডে ধৃত ৪…Tourists attacked with swords at Anjuna resort family members with deep cuts and injuries Narrating the horrific attack the victim

Advertisement

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তরোয়াল-ছুরি ইত্যাদি নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা! তা-ও আবার গোয়ায়। গোয়ার অঞ্জুনা এলাকায় এটা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। কয়েকজন দুষ্কৃতী পর্যটকদের উপর হামলা করে এবং নৃশংস ভাবে তাদের মারধর করে। রক্তারক্তিও হয়। যে-পরিবারটি আক্রান্ত হয়েছে তারই এক সদস্য যতীন শর্মা তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এই ঘটনার ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রিসর্টের এক কর্মীর সঙ্গে কিছু উত্তেজিত বাকবিতণ্ডার পরেই তিনি লোকজন জুটিয়ে তাঁদের উপর হামলা করে। রিসর্টের ওই স্টাফ নিয়ে তিনি তাই অভিযোগও জানিয়েছেন। এবং এর জেরে প্রাথমিক ভাবে ওই স্টাফকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসল সুরাহা কিছুই হয়নি। 

আরও পড়ুন: ‘৩০ মিনিটেই তল্লাশি শেষ! বসে চা-ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ খায়’, ইডি হানা নিয়ে বিস্ফোরক তেজস্বী

ওই হামলায় বিশ্রী ভাবে আহত যতীন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি করেছেন। যতীন পোস্টে জানিয়েছেন, কয়েকজন স্থানীয় গুন্ডা তাঁদের উপর হামলা চালায়। পুলিসের কাছে অভিযোগও জানান তাঁরা। পুলিস ঘটনায় জড়িত ৪ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়াও হয়।

কেন ছেড়ে দেওয়া হয়? 

আরও পড়ুন: 1984 Bhopal Gas Tragedy: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ চেয়ে কেন্দ্রের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

পোস্টেই এর উত্তর দেন যতীন। তিনি তাঁর পোস্টে পরের দিকে আরও আক্রমণাত্মক। সরাসরি ওই রিসর্টের নাম নিয়ে তিনি লেখেন, পর্যটকেরা যেন ওই রিসর্টটিতে কখনও না যান। কেননা, সেখানে কোনও নিরাপত্তা নেই। তাছাড়া পুলিসি সহায়তাও তিনি পাননি। যেখানে কেসটি ৩০৭ ধারায় হওয়া উচিত ছিল, তার জায়গায় তা হল ৩২৪ ধারায়। স্থানীয় পুলিসের জন্যই এই কাণ্ড। স্থানীয় গুন্ডাদের আড়াল করার জন্যই এটা করা হল। পুরো বিষয়টি বলে যতীন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুবিচার চান।

ঘটনার দিন সন্ধের দিকে অবশ্য় মোড় ঘোরে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ঘটনাটিকে উল্লেখ করে বলেন কোনও অ্যান্টি-সোশ্যাল গ্রুপই এর পিছনে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি অভিযোগের বয়ানে ৩০৭ ধারা যুক্ত করতেও নির্দেশ দেন। 

এর পরই পুলিস অতি সক্রিয় হয়ে পড়ে। দ্রুত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আর একজন গ্রেফতার হয়। তাদের নামও প্রকাশ করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক ভাবে যে পুলিস অফিসার অপরাধীদের আড়াল করতে চেষ্টা করছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।    
 
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।