রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের
নিয়োগ দুর্নীতিতে রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে আসছে। এমনকি চাকরি বাতিল হচ্ছে একের পর এক তৃণমূল নেতা এবং ঘনিষ্ঠদের। যা নিঃসন্দেহে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের উপর। এই অবস্থায় আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু। সেখানেই কুন্তল এবং শান্তুনুকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করা হয়।

দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোস নয়।
এই প্রসঙ্গে শশী পাঁজার দাবি, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোস নয়। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে শাসকদল। কখনই তৃণমূল দোষীদের সমর্থন করে না বলে এদিন মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তবে তদন্তে গতি আনার কথা বলছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীর কথায়, এই কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম এসেছে ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটাই তৃণমূলের সঙ্গে অন্যান্য দলের পার্থক্য বলে দাবি। এই প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ শানান শশী পাঁজা। এমনকি সে দলে গেলে যে সবাই ওয়াশিং মেশিনে পড়ে যায় বলে দাবি তাঁর।

প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, বিজেপির একাধিক্ লোক রয়েছে। এমনকি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের নাম সামনে আসছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেখানে তদন্ত যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ব্রাত্যের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে একটা নোংরা রাজনীতি চলে আসছে। দুর্নীতিগ্রস্থ বলে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল নেতার। তাঁর মতে, উন্নয়ন এবং ভোটে না পেরে এমন রাজনীতি করা হচ্ছে। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ ফের তৃণমূলকে ভোট দেবে বলেও দাবি।