সমস্ত কিছু আলাদা
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, কেন্দ্রের বেতন পরিকাঠামো আলাদা এবং রাজ্যের পরিকাঠামো আলাদা। কেন্দ্রীয় স্কুলের বেতন কাঠামো এবং রাজ্যের স্কুলের মাইনে সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা। ফলে রাজ্যের সরকারি চাকরি করে কোনও ভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ পাওয়া যায় না বলে এদিন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপরেও মানবিক সরকার এক তারিখে বেতন দেয় বলে এদিন জানান তিনি।

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই কাজ
শুধু তাই নয়, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সবটাই করা হয়েছে বলেও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি ইতিমধ্যে সুপারিশ মেনে ১০৬ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। এর থেকে বেশি আর দেওয়া যে সম্ভব নয় তা স্পষ্ট এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি ভাল থাকলে না হয় ভালবেসে কিছু দেওয়া যেত। কিন্তু সেই অবস্থা রাজ্যের নেই বলেও এদিন জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে ১০০ দিনের টাকা এবং জিএসটি সবটাই কেটে নিয়েছে বলেও দাবি করেন এদিন মমতা।

বাম আমলকে আক্রমণ
আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন ফের একবার বাম আমলকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আগের সরকারের আমলে বেতন এবং পেনশন পেতেন না কর্মীরা। এমনকি ডিএ দেওয়া নিয়েও আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বাম আমলের ঋণের প্রসঙ্গ টেনেও এদিন তৎকালীন বাম সরকারকে আক্রমণ শানান তিনি।

আন্দোলনের তেজ বাড়াচ্ছে সরকারি কর্মীরা
অন্যদিকে আন্দোলনের তেজ আরও বাড়াতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। সরকারি সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ডাক সংগঠনের। এমনকি ব্যক্তিগত ফোন, কম্পিউটার ব্যবহার করে কোনও কাজ নয় বলেও জানানো হয়েছে। ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্যে একাধিক কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁদেরকে সামনে রেখে ফের একবার আইনি লড়াইয়ের পথে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি সংগঠনের।