৮৪২ চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ সি কর্মীদের, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হাইকোর্টে, Group C job lost candidates file suit in division bench challenging Justice Abhijit Ganguly’s order

Advertisement

শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুপারিশে চাকরি হওয়া ৭৮৫ জনের নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে সুপারিশ ছাড়া চাকরি হওয়া আরও ৫৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশও দেন।

West Bengal

oi-Sanjay Ghoshal

Google Oneindia Bengali News
Advertisement

শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছিলেন গ্রপুর সি-র ৮৪২ জন কর্মী। সোমবার সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন গ্রুপ সি-র চাকরিহারাদের একাংশ। এই মামলার শুনানি এই সপ্তাহের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৮৪২ চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ সি কর্মীদের, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হাইকোর্টে

সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৮৪২ জন চাকরিহারার একাংশ। সেই মোতাবেক মামলা দায়েরের অনুমতি দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এই সপ্তাহের যেকোনো দিন এই মামলা শুনবে বিচারপতি।

শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুপারিশে চাকরি হওয়া ৭৮৫ জনের নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে সুপারিশ ছাড়া চাকরি হওয়া আরও ৫৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশও দেন। এই মর্মে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পরদিন দুপুরে ১২টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেন। মোট ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়।

এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলে চাকরি বাতিল হয় সুপারিশ করা ৭৮৫ জনের ও সুপারিশ ছাড়া ৫৭ জনেরও। গ্রুপ ডি-র পর গ্রুপ সি কর্মীদের চাকরি বাতিল হওয়ার পরই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। সেই তালিকায় শাক দলের একাধিক নেতা-নেত্রীর আত্মীয়-পরিজনের নাম উঠে আসে।

এই তালিকায় যেমন মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের নাম ছিল, ছিল তৃণমূল বিধায়কদের আত্মীয়-পরিজনদের নামও। বিজেপি নেতাদের আত্মীয়ের নামও ছিল বলে দাবি। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারীর সুপারিশে চাকরি হওয়া ১৫০ জনের মধ্যে ৫৫ জনের নাম রয়েছে বাদের তালিকায়। ফলে চাপ, পাল্টা চাপের খেলা চলতেই থাকে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, গ্রুপ সি কর্মীরা আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। স্কুলের কোনো কাজে তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না। তবে এখনই ওই কর্মীদের বেতন ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারানো কর্মীদের একাংশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তাঁদের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের অনুমোদন দিলেন বিচারপতি তালুকদার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে অদক্ষ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, এই সব দুর্নীতির কারণে অনেক স্বচ্ছ প্রার্থী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। তাদের চাকরি বিক্রি করা হয়েছে ক্ষমতাকে ব্যবহার করে। এই দুর্নীতিতে ৭৮৫ জন তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। তারা এই সুযোগটা উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।

English summary

Group C job lost candidates file suit in division bench challenging Justice Abhijit Ganguly’s order

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।