বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী সোমবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে যান। তিনি অধ্যক্ষ বিমান বন্যোদুপাধ্যায়ের কাছে দাবি করেন, দলত্যাগী বিধায়কদের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের কথা বলেন তিনি।

সাকুল্যে মিনিট দশেক অধ্যক্ষের ঘরে
দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি নিয়েই অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। সাকুল্যে মিনিট দশেক অধ্যক্ষের ঘরে ছিলেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, দলত্যাগ বিরোধী পাঁচ বিধায়কের নামে বহুবার অভিযোগ জানানো সত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের আর্জি
মুকুল রায় ছাড়াও বিজেপি পাঁচ বিধায়ক দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়নি। কেন এই কাজে বিলম্ব করছেন অধ্যক্ষ তা জানতে চান শুভেন্দু অধিকারী। এই বিধায়করা বিজেপিতে আছেন, না তৃণমূলে আছেন, তা স্পষ্ট করা হোক বলে তাঁর আর্জি।

নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক
এদিন অধ্যক্ষের সামনে খোলাখুলিই তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক। তার মধ্যে যেমন দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধানসভার আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুভেন্দু বলেন, অধ্যক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা রুলস-বুকে কোথাও লেখা নেই। ঠিক যেমন দিনের পর দিন বিল আটকে থাকে রাজভবনে। সেখানেও তা দ্রুত ছাড়া হয় না, এক্ষেত্রেও নিয়ম তা।

আলোচনা করে খুশি শুভেন্দু অধিকারী
এর পাল্টা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি রাজ্যপালের প্রতিনিধি নয়, কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার কাছে অনুরোধ বিধায়করা কোন দলে আছেন আপনি জানিয়ে দিন। শুভেন্দু বৈঠকের পর জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা করে খুশি।

যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়…
কিন্তু এরপরও যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, সেক্ষেত্রে বড়োসড়ো আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। প্রয়োজনে মিছিল করে অধ্যক্ষের ঘরে আসবেন। শহিদ মিনারের সামনে ধরনাতেও বসতে পারেন তিনি। মোট কথা দলত্যাগী বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্। যতদূর যেতে হয় তিনি যাবেন।

৫ দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে নালিশ শুভেন্দুর
এর আগে মুকুল রায় নিয়েও তিনি আইনি লড়াই জারি রেখেছেন। অধ্যক্ষ তাঁর জানিয়ে দেওয়ার পরও আবার তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষকেও আর্জি জানালেন বাকি পাঁচজন দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের।