শূন্য পেয়েও দেদার নম্বর বৃদ্ধি!
স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে স্পষ্ট যোগ্যদের নম্বর কমিয়ে পিছনের তালিকাতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অযোগ্যদের তালিকা ব্যাপক ভাবে বাড়ানো হয়েছে বলেও এদিন স্পষ্ট। তালিকাতে দেখা গিয়েছে, অনেকেই শূন্য পেয়েছে। তাদের নম্বর ব্যাপক ভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা বাড়িয়ে কোথাও করা হয়েছে ৫৭ তো আবার কোথাও করা হয়েছে ৫৪। শুধু তাই নয়, অনেকেই দেখা গিয়েছে মাত্র এক নম্বর পেয়েছে। তাদেরও নম্বর অবোইধ ভাবে বাড়ানো হয়েছে।

৩ হাজার ৩০ জনেরই নম্বর ব্যাপক ভাবে বাড়ানো হয়েছে
এমন তিন হাজার ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বার করা হয়েছে এদিন। যার মধ্যে ৩ হাজার ৩০ জনেরই নম্বর ব্যাপক ভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি স্কুল সার্ভিস কমিশনের। গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। যেখানে একাধিক ব্যক্তির চাকরি বাতিল হয় আদালতের নির্দেশে। এই অবস্থায় কতজন পরীক্ষার্থীর কত নম্বর বাড়ানো হয়েছে সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বাড়ানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

“এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি”
আর সেই নির্দেশ মেনেই এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই তালিকা। আর তা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি”। স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটা সম্মান ছিল। তা আর কিছুই থাকল না বলে দাবি বিজেপি নেতার। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ শানান রাহুলবাবু। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন না এটা হতে পারে না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন বাম-কংগ্রেস
অন্যদিকে এই বিষয়ে একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন বাম-কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর দাবি, বাংলার নাম এখন দুর্নীতিশ্রী। একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। কিন্তু আর কত? অন্যদিকে আরও এক বাম নেতার দাবি, প্রথমদিন থেকে আমরা বলে আসছিলাম। সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে বলে দাবি বামেদের।