হোলির দিল্লিতে যৌন হেনস্থির শিকার হয়েছিলেন এক জাপানি পর্যটক। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরপরই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল দেশ জুড়ে। এবার জানা গেল, নির্যাতিতা জাপানি মহিলা ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে আছেন বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। নির্যাতিতা বিদেশিনী নিজেই নাকি টুইট করে জানিয়েছেন, আপাতত শারীরিক ও মানসিক ভাবে তিনি সুস্থ রয়েছেন এবং তিনি বাংলাদেশে রয়েছেন। এদিকে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি নির্যাতিতা। তবে ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের তরফে জাপানের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ‘পুজো’র জন্য স্ত্রীর ঋতুস্রাবের রক্ত বিক্রি করলেন স্বামী! দাম শুনলে ঘুরবে মাথা)
জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সম্প্রতি। ভিডিয়োটি হোলির দিনের বলে দাবি করা হয়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, এক তরুণীকে ঘিরে ধরেছে কয়েকজন। সবাই রঙ মেখে রয়েছে। সেই যুবকরা ওই তরুণীর গায়ে হাত দিতে শুরু করে এবং জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করেন সেই তরুণী। এরপর এক জনকে সেই তরুণী থাপ্পড় মারেন। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শুরু হয় সমালোচনা। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে তারা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
এদিকে দিল্লিপুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত তরুণী বা ভারতে অবস্থিত জাপানি দূতাবাসের তরফ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে সমালোচনার ঝড়ের আবহে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মধ্য দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হয় তিনজনকে। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। ঘটনার ভিডিয়ো টুইট করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের অন্যতম সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর। তিনি কড়া ভাষায় এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তিনি পরামর্শ দেন, নির্যাতিতা জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এরই মাঝে ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে কঠোর পদক্ষেপ করল দিল্লি পুলিশ।