শুক্রবার আচমকাই ‘শহর’-এর অনিন্দ্য়র ফেসবুক পোস্ট ঘিরে হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে ‘যখন নীরবে দূরে’ খ্যাত গায়ক লিখেছিলেন, ‘আমার চলে যাওয়াই ভালো… আমার এই স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। খানিকক্ষণের মধ্যেই সিধু সকলকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন অনিন্দ্য ঠিক আছেন। কিন্তু কী ঘটেছিল? কেন ওই বিস্ফোরক পোস্ট অনিন্দ্যর তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিল না। শুক্রবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
অনিন্দ্যর দীর্ঘদিনের বন্ধু ‘ ক্য়াকটাস’-এর সিধু জানিয়েছেন অবসাদে ভুগছেন অনিন্দ্য। একাকীত্ব গ্রাস করেছে অনিন্দ্যকে। সিধুর কথায়, ‘একাই থাকে অনিন্দ্য, এমনিতে সামাজিক মাধ্যমে আমি খুব সক্রিয় নই। তবে ওর পোস্ট দেখে তৎক্ষণাত ওর বাড়ি যাই। সেইসময় ও নেশাচ্ছন্ন ছিল। ওকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসি’। এমনিতেই অবসাদের জেরে বেশ কিছু মেডিসিন খেয়ে থাকেন অনিন্দ্য, শুক্রবার তিনি পাঁচটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেন। সিধু গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করবার পর, বমি করেন অনিন্দ্য। এরপর সিধুর বাড়ি এসে টানা ঘুম। কী কারণে অবসাদে ভুগছেন অনিন্দ্য? ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি পেশাগত সমস্যা– তা অবশ্য খোলসা করেননি সিধু। শনিবার নিজেই বন্ধুকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসেন সিধু। সুগায়ক হওয়ার পাশাপাশি সিধু একজন ডিগ্রিধারী ডাক্তারও, তাই কাছের মানুষদের আপদে-বিপদে সবসময় ছুটে যান তিনি।
বিস্ফোরক পোস্টের চব্বিশ ঘন্টার কাটতে না কাটতেই ফের ফেসবুকে একটি পোস্ট লেখেন অনিন্দ্য। অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের পরিস্থিতির কথা জানান। গায়ক লেখেন, ‘আমি আবেগপ্রবণ। মনখারাপের কথা বলে ফেলি। কালকেও তেমনই একটা ঘটনা ঘটিয়েছি। আমার তার কেটে গেছিল। সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা আমাকে ভালবাসেন তাঁদের কাছে।’
আরও পড়ুন-‘শহর’-এর অনিন্দ্যর রহস্যময় পোস্ট, স্বেচ্ছামৃত্যুর ইঙ্গিত পেয়ে ছুটে গেলেন সিধু
এরপরেই সংবাদমাধ্যমে একহাত নিয়ে তিনি লেখেন, ‘তবে রোদন কে ‘বিনোদন’-এর পাতায় না ছাপালেও চলতো…’। অনিন্দ্যর পোস্টের কমেন্ট বক্সে দুশ্চিন্ত জাহির করে অনুরাগীরা লিখেছেন, ‘ভালো থেকো দাদা। আমরা তোমার পাশে আছি’।