তৃণমূলের বাঁকুড়ার নেতা পরিমল রায়ের ছেলে দেবাশিস রায় আদালতের নির্দেশে গ্রুপ সি চাকরি হারিয়েছেন, Bankura TMC leader Parimal Roy’s son Debashis Roy loses gr c job due to court order.

Advertisement

Advertisement

মিউচ্যুয়ার ট্রান্সফারে বাড়ির কাছের স্কুলে

উল্লেখ করা প্রয়োজন দেবাশিস রায় প্রথমে বড়জোড়ার দধিমুখা হাইস্কুলে কর্মরত ছিলেন। পরে ‘মিউচ্যুয়েল ট্রান্সফারে’র মাধ্যমে বাড়ির কাছে নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।

তৃণমূল নেতা বাবার প্রতিক্রিয়া

তৃণমূল নেতা বাবার প্রতিক্রিয়া

‘চাকরিচ্যুত’ নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রুপ-সি কর্মী দেবাশিস রায় কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তাঁর বাবা পরিমল রায় নিজেকে ‘তৃণমূল কর্মী’ দাবি করে বলেন, কোথাও কোনও টাকা তিনি বা তাঁরা দেননি। এমবিএ করা ছেলে দেবাশিস সরকারি নিয়ম মেনে, বিজ্ঞপ্তি দেখার পরে আবেদন করে চাকরি পেয়েছিল। প্রয়োজনে ওএমআর শিট খতিয়ে দেখা হোক, বলেছেন তিনি। এবিষয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন, তবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া

নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, সরকারিভাবে ওই বিষয়ে কোনও নির্দেশ তিনি পাননি। তবে শনিবার স্কুল খোলা থাকলেও ওই কর্মী স্কুলে আসেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্যও করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

প্রকাশ্যে আসুক সব নাম

প্রকাশ্যে আসুক সব নাম

এব্যাপারে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি বলেন, এরকম তৃণমূল নেতাদের অনেক আত্মীয় স্বজনের চাকরি গিয়েছে। এখন নাম প্রকাশে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাটগই শাসকদলের নেতার ছেলে, ভাই কিংবা অন্য আত্মীয়। আর ইসবপুর যাঁর চাকরি গিয়েছে সে, তৃণমূল নেতার ছেলে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি বিধায়ক বলেন, শিক্ষা চুরির চাকা কালীঘাটে গিয়েছে, কিন্তু কারা সেখানে পৌঁছে দিয়েছে। যাঁদের চাকরি গিয়েছে কিংবা যাচ্ছে তাদের উচিৎ কাকে ‘ঘুষ’ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে আনা। এখনও সেই নাম প্রকাশ্যে আসা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে জানা গিয়েছিল, আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে সেই তালিকায় রয়েছে ডায়মন্ডহারবারে অমিত সাহার নাম। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর, টাউন সভাপতি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির মতো পদে রয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি মদন বর্মনের।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।