যদি প্রত্যেকদিন এভাবে অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হত, তাহলে সরকারি কর্মীরাও পরিষেবা দিয়ে ডিএ দাবি করতেন। তাঁর দাবি, সরকারি অফিসে এই কালচার আনা হোক।
West Bengal
oi-Sanjay Ghoshal

ডিএ নাকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? কোনটা আগে। শুক্রবারই তা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভরা মেয়র ফিরহা হাকিম। শনিবার তাঁর যুক্তি কাটলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফিরহাদের যুক্তির পাল্টা দিলেন তিনি। একইসঙ্গে সরব হলেন ধর্মঘট নিয়েও।
শনিবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তখনই তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কাল প্রশাসনিক ধর্মঘট কেমন হল? তাঁর উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওনারা বলছেন প্রচুর হাজিরা। সই আছে কি? কাল পাঁচবার অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হয়েছে। অন্যদিন তা হয় না কেন? হলে তো মানুষ সঠিক পরিষেবা পেতেন।

দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি প্রত্যেকদিন এভাবে অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হত, তাহলে সরকারি কর্মীরাও পরিষেবা দিয়ে ডিএ দাবি করতেন। তাঁর দাবি, সরকারি অফিসে এই কালচার আনা হোক। সকালে এবং বিকেলে সই হোক। সরকারের আর উপায় নেই। চারিদিক দিয়ে সঙ্কট তীব্র হচ্ছে। সার্ভিস ব্রেক করলে সরকারির কর্মীরা কেস করবেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, এই সরকারের আর দম নেই এত বড়ো পদক্ষেপ করার মতো। হুমকি দিয়ে কারো অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বনধের বিরোধিতা করুন না কেন, বনধের কালচার বাংলায় যে পপুলার করেছিলেন তিনিই, তা সবাই জানে। আমি এ প্রসঙ্গে সরকরি কর্মীদের উদ্দেশে মানবিকতার খাতিরে আবারও আবেদন করব, কাজ সচল রেখে আন্দোলন করুন।
সম্প্রতি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আগে লক্ষী ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্প, পরে ডিএ। মন্ত্রীর এই যুক্তি কিন্তু মানতে পারেননি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাঁর প্রশ্ন, উল্টোটা নয় কেন? আমরা বাড়িতে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, ওষুধ এবং দুধের জন্য খরচ বাঁচিয়ে তারপর অন্য খাতে খরচ করি। সরকারি কর্মচারীরা তো সরকারের কাছে বাড়ির ছেলের মতো। তাঁদের অধিকার আগে মিটিয়ে দিয়ে পরে দান খয়রাত করুন।
রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, দুয়ারে সরকার দরকার হ’ত না। সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এই প্রকল্প এনেছে। তাই বলছি, কর্মীদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। সরকারি অফিসে কাজের পরিবেশ ফেরান। তা না হলে শুধু দান খয়রাত করে এই সরকার বাঁচাতে পারবেন না।
শুক্রবারই এসএফআই পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মিছিল করেছে। অনুমতি না থাকলেও সেই মিছিল শিয়ালদহ থেকে অনায়াসে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ চলে এল। তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশ আসলে দিশেহারা। ওরাও তো সরকারি কর্মী। ওরা দিনরাত ডিউটি করছে আর মার খাচ্ছে। ভোট রিগিং থেকে নেতার বাড়ি পাহারা- এই তো কাজ। তাদেরও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ওভার টাইম খাটানো হচ্ছে। কাঁহাতক করবেন ওঁরা। ফলে এত আন্দোলন পুলিশের পক্ষে আর সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, শুধু সুকন্যা কেন? আর কার কার মুখোমুখি হবে জাস্ট দেখুন। পার্টির বড়ো বড়ো নেতাদের সঙ্গে ওখানে দেখা হওয়ার চান্স আছে। তিহারে একজন উপমুখ্যমন্ত্রী আছেন। মণীশ সিসোদিয়া)। ফলে জেলে বিরোধী ঐক্য নিয়ে মিটিং হতে পারে। আর যদি কোনো কারণে মুখ্যমন্ত্রী ওখানে পৌঁছে যান, তাহলে বিরোধী ঐক্যের পাশাপাশি বিকল্প প্রধানমন্ত্রীর মুখও পাওয়া যাবে।
- সাগরদিঘি পথ দেখিয়েছে, বিরোধীদের একজোট হওয়া দরকার, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের, পাল্টা কী বলল TMC
- মন্ত্রীরও কোনো সুরক্ষা নেই বাংলায়! নিশীথ-কাণ্ডে ৩৫৬ জারি করার দাবি দিলীপের
- তৃণমূলকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না, শিলিগুড়ির চা চক্রে যোগ দিয়ে বার্তা দিলীপের
- নেতাদের দরজায় লাথি মারুন, রাস্তায় বের হলে গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিলীপ ঘোষের
- তৃণমূল এগোচ্ছে মৃত্যুর দিকে! পার্থ-র সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তাঁরও, তাই বলে কি…ছবি বিতর্কে শুভেন্দুর পাশে দিলীপ
- ফের ‘গেরুয়া’ বিতর্ক উস্কে দিল বিজেপি, অরিজিতের শোয়ের পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
- মেট্রোয় নীল-সাদা রং নিয়ে হানলেন মারাত্মক অভিযোগ, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপ ঘোষের
- ২০২১ ফিরে আসুক চাইছে না বিজেপি, ২০২৩-এর জন্য তৈরি একেবারে ভিন্ন কৌশল
- মমতা নিজের পার্টিকে বাঁচাতেই ব্যস্ত! গ্রাম গ্রামে ঘুরতে হচ্ছে কেন অভিষেককে, প্রশ্ন দিলীপের
- ছোট কেষ্টদের খুঁজে বের করার আহ্বান! গরম জলে হাত-পা পুড়তে পারে, ফিরহাদ হাকিমকে সতর্ক করলেন দিলীপ ঘোষ
- সিপিএম বাংলায় হিরো থেকে জিরো! ত্রিপুরাতেও নিঃশেষ, তৃণমূলকে সাবধান করলেন দিলীপ
- অভিষেক ভিনরাজ্যে একটা পঞ্চায়েতও জেতাতে পারবেন না, জেলা সফরে খোঁচা দিলীপের
English summary
Dilip Ghosh cuts Firhad Hakim’s argument about DA and Lakshmir Bhander controversy in West Bengal.
Story first published: Saturday, March 11, 2023, 12:28 [IST]