চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার
চুঁচুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেয়ারম্যান অমিত রায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার। সেখানে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রোমোটারদের যোগসাজসের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়েছে, চুঁচুড়ার ঐতিহ্যবাহী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতিধন্য বিদ্যামন্দির ভেঙে প্রোমোটারি কার স্বার্থে?

চেয়ারম্যানের সাফাই
এই প্রসঙ্গে চুঁচুড়ার পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, আমি দীর্ঘদিন এটাকে নিয়ে আন্দোলন করেছি। সরকারকেও বলেছিলাম ওটা অধিগ্রহণের জন্য। কেউ কর্ণপাত করেনি। ওটা প্রাইভেট সম্পত্তি প্রাইভেট বাড়ি তাই তারা কি করছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। পোস্টার পড়েছে, তবে বেনামে। কোনও নামধাম নেই তাই এ ব্যাপারে জবাব দিতে রাজি নন। কেউ পয়সা নেবার জন্য প্রোমোটারের কাছে গিয়েছিল, ধমন দিয়েছিল। তবে তারা পয়সা নিতে পারেনি, সেই সম নাম তিনি জানলেও বলবেন না বলে জানিয়েছেন। এইসব ব্যক্তিরাই পোস্টার কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন অমিত রায়।

থানায় কেন অভিযোগ হল না
কে সেই পয়সা চাইতে গিয়েছিল, তা খোলসা করেননি চেয়ারম্যান অমিত রায়। সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে, বাড়ি গিয়ে প্রোমোটারকে ধমকে টাকা চাওয়া হলো, বিষয়টি চেয়ারম্যান জানেন। এর অর্থ প্রোমোটারের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। অথচ থানায় কোনও অভিযোগ হল না কেন? স্মৃতি বিজড়িত ভবন নিয়ে আন্দোলন করেছেন, এই কথা জানিয়েছেন খোদ অমিত রায় নিজেই। তাহলে বর্তমানে তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেই ভবন ভেঙে প্রোমোটিং হচ্ছে কী ভাবে? যদিও এই সব প্রশ্নের কোনও উত্তর তিনি দেননি।

বিজেপির প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, অতীতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যামন্দির নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে অমিত রায়কে। তখন তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন না। বর্তমানে তিনি চুঁচুড়ার পুর প্রধান। তাই হয়তো তাঁর কাছেও কাটমানি পৌঁছে গেছে। সেজন্য তিনি এব্যাপারে আর কোনও আন্দোলন করছেন না। কারা পোস্টার মেরেছে বিজেপির জানা নেই বলে দাবি করেছেন জেলার বিজেপি নেতা। তবে পোস্টারের বিষয়টাকে তাঁরা সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন। আগামী দিনে বিজেপি এই বিদ্যামন্দির নিয়ে আন্দোলন করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।