অনুব্রত মণ্ডলের অর্থিক অনিয়ম মামলায় জড়িত অনেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। এমন কী বহু নথিও চলে গিয়ে থাকতে পারে প্রতিবেশী দেশে। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করল ইডি। জেরার জন্য তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে ১১ দিনে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের আর্জি না জানালেও, তিনি আদালতের কাছে জানিয়েছেন, ধীর গতিতে জেরা হচ্ছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি রঘুবীর সিং কেষ্ট মণ্ডলের কাছে জানতে চান, আপনি হিন্দি, ইংরাজি? তিনি ঘাড় নেড়ে না বলেন। এর পর তাঁর কাছে বিচারপতি জানতে চান,’আপনি কিছু বলতে চান?’ এই প্রশ্নের জবাবেও নিরুত্তর থাকেন তিনি। এর পর বিচারপতি তদন্তকারী সংস্থার দাবি মেনে ১১ দিনে হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এর আগের শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ইডি হেফাজতে থাকলেও তাঁরা আইনজীবীরা প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এমন কী জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীরা আদালতে জানান, তাঁর যখন কথা বলতে যাচ্ছেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা চলছে। এই অভিযোগ শুনে বিচারপতি ইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে চান তেমনটা হচ্ছে কি না? আইনজীবী জানান, তেমন কিছু হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবারের শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলকে ১১ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। যুক্তি হিসাবে তারা আদালতে জানিয়েছিল, ওই ১১ দিনে ১২ জনকে তলব করে মুখোমুখি বসিয়ে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাও। এছাড়া তাঁদের হিসাবরক্ষককেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।