ডিএ আদায় করতে সরকারির কর্মীদের লড়াইকে স্যলুট
প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা আজ রাস্তায় নেমেছেন। সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করছে। এ প্রসঙ্গেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শুক্রবার বলেন, কর্মচারীদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পশ্চিমবঙ্গে বিনা লড়াইয়ে মানুষ কোনো কিছুই পায় না। সরকারের কাছ থেকে ডিএ আদায় করতে তাই পথে নেমেছেন সরকারির কর্মীরা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র এটা দান খয়রাতি করছেন না
অধীর বলেন, আমি বিশ্বাস করি না যে, সরকারি কর্মচারীরা লড়াই না করলে তাদের অধিকার পাবে। সরকারি কর্মচারীদের যা অধিকার সেটা পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র এটা দান খয়রাতি করছেন না সরকারি কর্মচারীদেরকে।

পশ্চিমবঙ্গে যা কিছু নির্ধারিত হয় ভোটের কথা মাথায় রেখে
অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন সরকারি কর্মীরা ভোটব্যাঙ্ক নন। তারা ভোটারদের তুলনায় নগণ্য সংখ্যা মাত্র। তাই সরকারি কর্মচারীদের ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আসলে, পশ্চিমবঙ্গে যা কিছু নির্ধারিত হয় ভোটের কথা মাথায় রেখে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ধমক দেওয়ার চেষ্টা করছেন
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যায্য দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবেন না। সরকারি কর্মচারীদের দাবি মানবেন না। সরকারি কর্মচারীদের ভোটের ভারসাম্য হেরফের করার ক্ষমতা নেই, তাই তাঁরা ব্রাত্য। বাংলার এই রাজ্য সরকার তাই উদাসীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ধমক দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই ধমকের কাছে যেন মাথা নীচু না করে সরকারি কর্মীরা।

বাংলায় দুর্নীতির টাকা ঢালা হয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে
বর্তমানে রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতির কাণ্ডে এবার একের পর এক টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী নাম উঠে আসছে। এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, উৎপাদের ধন চিৎপাতে যায়। বাংলায় দুর্নীতির টাকা ঢালা হয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে আজকের টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা সিনেমায়।

কেষ্ট যদি ঢোল ফাটায়, তাহলে… কটাক্ষ অধীরের
তিনি বলেন, এইসব হারামের টাকা, লুটের টাকা দিয়ে সিনেমা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, লুঠের কিনারা কিন্তু হচ্ছে না। লুঠে পরিকল্পিত মাথা রয়েছে। সরকারি মদত ছাড়া এই লুঠ হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবার এই ভাগ খেয়েছে। কেষ্ট যদি ঢোল ফাটায়, তাহলে দিদি এবং ভাইপোর সিবিআইয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।

অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে রাজ্য সরকার নির্বিকার
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মালব্যকে জানানো হয়েছে, অ্যাডিনো ভাইরাস ইতিমধ্যে বিরাট আকার ধারণ করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা কান দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন, এগুলো আমরা কিছু জানি না। পশ্চিমবঙ্গে এই ভয়ানক ঘটনা ঘটছে, এই ভয়াবহ অ্যাডিনো ভাইরাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেখানে রাজ্য সরকার নির্বিকার।