কোন পদের জন্যে কত টাকা!
গত কয়েকদফায় কুন্তল এবং তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি। আর তাদের জেরা করে একাধিক নতুন তথ্য পান আধিকারিকরা। আর এরপরেই আজ শুক্রবার হুগলির জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুকে তলব করেন ইডির আধিকারিকরা। সকাল থেকে চলে জেরা। প্রায় সাত ঘন্টা জেরা শেষে তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। সূত্রে জানা যায়, শান্তনুর মাধ্যমেই তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মধ্যে আলাপ তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন পদের জন্যে কত টাকা নেওয়া হবে সেই তালিকাও নাকি তৈরি করেছিলেন শান্তনু। বিশেষ করে প্রাইমারি-আপার প্রাইমারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কত টাকা নেওয়া হবে তা চূড়ান্ত করা হয় এক বৈঠকে। সেই বৈঠক কুন্তলের বাড়িতে হয় বলে জানতে পারেন আধিকারিকরা।

একাধিক অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়
গত ২০ জানুয়ারি হঠাত করেই তৃণমূল নেতা শান্তুনুর বলাগড়ের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। আর এই দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি একাধিক অ্যাডমিট কার্ডও উদ্ধার হয় শান্তনুর বাড়ি থেকে। এমনকি ৩১২ জনের একটা তালিকাও উদ্ধার হয়। এত তালিকা- অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে এল সে বিষয়ে এদিন প্রশ্ন শান্তনু এড়িয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও তৃণমূল নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিকবার মোটা অঙ্কের টাকা পড়েছে। সেই সমস্ত টাকার উৎস কি তা অবশ্য জানাতে পারেননি তদন্তকারী সংস্থাকে।

একাধিক অসঙ্গতি
অন্যদিকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎসও খতিয়ে দেখেন ইডির আধিকারিকরা। তাতে একাধিক অসঙ্গতি পান আধিকারিকরা। এমনকি টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক জনের কাছ থেকে শান্তনুর নাম পান আধিকারিকরা। সে বিষয়েও এদিন জেরায় সেই সমস্ত জিনিস তাঁকে দেখানো হয়। কিন্তু বারবার বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন নিয়োগ ক্ষেত্রে সমান্তরাল ভাবে একটা নিয়োগ প্রেক্রিয়া শান্তনু চালাতেন বলেও দাবি ইডি আধিকারিকদের। সেই সমস্ত কিছু তথ্য যাচাইয়ের পরেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল ইডি।