দিলীপ-শুভেন্দুরও এক সুর
এতদিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষ যে পথে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর উল্টো রাস্তা নিয়েছেন। আবার উল্টোটাও হয়েছে। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর দিলীপ-শুভেন্দুরও এক সুর। বিরোধী অন্যান্য দলও এক সুরে কথা বলছে।

মহাজোট গড়ে তুলতে হবে
দিলীপ ঘোষ বলেন, সরকার বিরোধীদের সঙ্গে যে রকম ব্যবহার করছে তার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে এক হওয়ার দরকার। মহাজোট গড়ে তুলতে হবে। সাগরদিঘিতে তা অনেকটাই হয়েছে। এবার সার্বিকভাবে জোট গড়ে তুলতে হবে। দিলীপ ঘোষের এই কথার সমর্থন করেছেন শুভেন্দু।

‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান
২০২১-এর আগে বাংলায় ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান উঠেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বা ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান তুলেত পারেন বিরোধীরা। এবার বঙ্গ রাজনীতিতে কোনো বৃহত্তর জোট হয় কি না, সেটাই দেখার।

হার মেনেছে তৃণমূল
এবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। তৃণমূলকেও যে হারানো যায়, তাদের জেতা আসনও ছিনিয়ে নেওয়া যায়, তা দেখিয়েছে সাগরদিঘি। এর আগে সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূল কোনো উপনির্বাচনে হারেনি। কিন্তু এবার বাম-কংগ্রেস মিলিত শক্তির কাছে হার মেনেছে তৃণমূল।

এক হয়ে তৃণমূলকে হারিয়েছে
তৃণমূলের অভিযোগ শুধু বাম ও কংগ্রেস নয়, বিজেপিও তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তা না হলে বিজেপির ২৫ হাজার ভোট কোথায় গেল সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম তথা বামফ্রন্ট এক হয়ে তৃণমূলকে হারিয়েছে। এবার তৃণমূলের সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েই দাবি উঠে পড়ল মহাজোটের।

কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হন
সাগরদিঘি ২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের হাতে রয়েছে। তার আগে এই কেন্দ্রে বামেদের প্রভাব ছিল। ২০১১ থেকে ২০২১ পরপর তিনটি নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জেতে তৃণমূলের সুব্রত সাহা। মন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে এই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায় ২০২৩-এ। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হন তৃণমূলকে হারিয়ে।

ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ুক বিরোধীরা
এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষের সমর্থনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অদিকারী বলেন, দিলীপদা খারাপ কিছু বলেননি। দিলীপদা আমাদের সিনিয়র লিডার। তিনি ভালো জানেন, মানুষ চাইছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ুক বিরোধীরা।

মানুষ ঠিক করে দেবে, কে জিতবে
শুভেন্দু বলেন, আমাদের বিরোধী দলগুলি কখনই মিলবে না, যেমন তেলে-জলে মেলে না, তেমনই আদর্শগতভাবে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের মিল হতে পারে না। ফলে একসঙ্গে পতাকা বাঁধা সম্ভব নয়। আন্দোলনটাও সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের উচিত সকলরে ‘নো ভোট টু মমতা’ বলা। তারপর মানুষ ঠিক করে দেবে বিজেপি কে আনবে নাকি অন্য কাউকে।