ছয়টি শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
গত ২৪ ঘন্টায় অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুর। এর মধ্যে নিউমোনিয়ার বাড়বাড়ন্তও চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় যদিও সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে অ্যাডভাইজারি। কিন্তু এরপরেও শিশু মৃত্যু ঠেকানো কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ছয়টি শিশু অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। বাকি ১৩ টি শিশুর কোমর্বিডিটির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

পরিবারের এক সদস্য অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত
আর এই কথা বলতে গিয়েই বিধানসভায় মমতা বলেন, আমার পরিবারের এক সদস্য অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে কে আক্রান্ত তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে এওব বলে বেড়ান না বলেই এদিন মন্তব্য করেছেন প্রশাসনিক প্রধান। তবে ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন সবরকম ভাবে ততপর বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি। এমনকি একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে এদিন বিরোধীদের আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি।

করোনার পর থেকে সবাই একটু আতঙ্কে রয়েছে।
বলেন, সিক নেটাল কেয়ার ইউনিট না থাকার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বাম আমলে তো এই সব জিনিস ছিল না। এখন ১৩৮টি হাসপাতালে ২৪৮৬টি এসএনসিইউ অর্থাৎ সিক নেটাল কেয়ার ইউনিট রয়েছে বলে এদিন দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও ঢেলে সাজানো হয়েছে বলেও এদিন দাবি তাঁর। তবে করোনার পর থেকে সবাই একটু আতঙ্কে রয়েছে। অনেকেই নিজেদের আত্মীইয়দের হারিয়েছেন। এমনকি আমিও আমার ভাইকে হারিয়েছিলাম। তবে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে এদিন জানান মমতা। নবান্নের তরফে সবরকম ভাবে নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপর। তবে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দেন এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্যানিক হওয়ার কিছু নেই।
মরশুমের বদলের সময় প্রতিবছরই সর্দি-কাশি-জ্বর হয়ে থাকে শিশুদের। এবারও প্রথমে সেরকমই শুরু হয়েছিল। সাধারণ সর্দি-কাশি। কিন্তু সেটা এবার ভয়বহ আকার নেয়। শয়ে শয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করে। আর এরপর থেকেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি গোটা রাজ্যে। একের পর এক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শিশু ভর্তি হতে শুরু করে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই বিষয়ে প্যানিক হওয়ার কিছু নেই।