অনুব্রতর ফর্মুলাতেই ভোট
এদিন নানুরে দলের কর্মসূচির পরে সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা বলেন, অনুব্রত মণ্ডল তাদের নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই বীরভূমে দল চলছে। উনি থাকুন কিংবা না থাকুন, উনি যে ফর্মুলা দেখিয়ে গিয়েছেন, তাতেই ভোট হবে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন এই বিধায়ক।
তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনুব্রত মণ্ডলকে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়েছে। ইডি-সিবিআই দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে শেষ করা যাবে না, বলেছেন তিনি। কীভাবে জেলায় ভোট করাতে হয়, তা তাঁর (অনুব্রত) কাছে শেখা বলেও জানিয়েছেন গদাধর। শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচনেই নয়, লোকসভা নির্বাচনেও একই কায়দায় ভোট হবে।

অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষতি হলে
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আদালতের অনুমতিও পাওয়া গিয়েছে। সেব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে গদাধর হাজরা বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের যদি কোনও ক্ষতি হয়, যদি তাঁর ওপরে কোনও অত্যাচার হয় কিংবা কোনও কষ্ট হয়, তাহলে বীরভূমে যাঁরা বিজেপি করেন, তাঁদেরও ওইরকমই কষ্ট হবে। তৃণমূলের কর্মী নেতারাই তার ব্যবস্থা করবেন বলেও সাফ জানিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক।

গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক অনুব্রত
এদিকে গদাধর হাজরার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। তিনি বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডল যে বীরভূমের লোকেদের পক্ষে বিপজ্জনক তা এইসব নেতাদের কথাতেই পরিষ্কার। এইধরনের লোকেদের গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক ঘোষণা করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। রাহুল সিনহা আরও বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার যাত্রা কেউ আটকাতে পারবে না।

অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে টানাপোড়েন
এদিকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে টানাপোড়েন জারি রয়েছে। রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার প্রশ্নে কার্যত হাত তুলে নিয়ে বলেছে, তাঁকে আসানসোল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডিকে রাজ্য পুলিশের অবস্থানে কথা জানায় জেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ইডি সূত্রে ইঙ্গিত কপে বলা হয়েছে, তারা জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসবে না। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে যেভাবে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, ঠিক সেইভাবেই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি। তবে এই টানাপোড়েনের ফয়সলা আদালতের হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা এব্যাপারে কটাক্ষ করে বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি যাত্রা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইছেন। কিন্তু ১৩ তারিখ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে ছুটি।