দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার পুলওয়ামা শহিদের স্ত্রীর, বেধড়ক পেটাল পুলিস

Advertisement

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিছুদিন আগেই গালওয়ানে চিনা সেনার হামলায় এক শহিদ সেনানির বাবাকে মারধর করে গ্রেফতার করেছিল বিহার পুলিস। এবার দাবি আদায়ে রাস্তায় নামায় পুলওয়ামা হামলায় শহিদ সেনানীর স্ত্রীকে বেধড়ক পেটাল রাজস্থান পুলিস। রাস্তার মাঝে টেনেহিঁচড়ে মারধর করা হয় ওই মহিলাকে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন-হাতের কড়ে আঙুলে পরতে হবে রুপোর আংটি, হাতেনাতে মিলবে এই ৫ বড় উপকার

জম্মু ও কাশ্মীরে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামালায় শহিদ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান রহিতাস লাম্বা। পুলওয়ামা হামলায় শহিদের পরিবারের জন্য বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেইসব প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। তা পূরণ করার দাবি নিয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান লাম্বার স্ত্রী ও অন্যন্য শহিদ সেনানির স্ত্রীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা কৈররিলাল মিনা। তখনই তাদের বেধড়ক মারধর করে পুলিস। তাদের টেনে হিঁচড়ে জিপে তোলা  হয়। 

নিগৃহিতা ওই মহিলার প্রশ্ন, কেন আমাদের এভাবে মারধর করা হল? আমরা তো আমাদের দাবি চাইতে গিয়েছিলাম। এর আগে পুলওয়ামায় শহিদ ৩ সেনানির স্ত্রী শহিদ স্মারক বেদীর কাছে ধরনায় বসেন। তাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সৈনিক কল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র রাজেন্দ্র সিং। কিন্তু তাতেও কিছু হয়নি। 

শহিদ রহিতাস লাম্বার স্ত্রী মঞ্জু সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমার স্বামী দেশের জন্য শহিদ হয়েছিলেন। ভেবেছিলাম আমাদের সন্তানদেরও দেশের জন্য লড়াই করতে পাঠাব। এখন বলছি, আর নয়। সরকার আমাদের কথা শোনে না। উল্টে আমাদের তাড়াবার জন্য পুলিস লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি বিহারের বৈশালীতেও ঘটেছে প্রায় এমনি ঘটনা। চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০২০ সালের জুন মাসে শহিদ হয়েছিলেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। ওইসব শহিদ বীর সেনানির তালিকায় ছিলেন বিহারের বৈশালীর জয় কিশোর সিং। বাড়ির কাছেই শহিদ ছেলের স্মৃতিতে একটি শহিদ বেদি তৈরি করেছিলেন জয় কিশোরের বাবা। ওই বেদী নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। আপত্তি করে প্রশাসন। জয় কিশোরের বাবাকে মারধর করে তুলে নিয়ে গেল পুলিস। অভিযোগ, ওই শহিদ বেদি তৈরি করা হয়েছিল সরকারি জমিতে।

শহিদ জয় কিশোরের ভাইও একজন জওয়ান। সংবাদমাধ্য়মে তিনি জানিয়েছেন, ডিএসপি ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি আমাদের ১৫ দিনের মধ্যে দাদার ওই বেদী সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যেই স্থানীয় পুলিস আমাদের বাড়িতে এসে বাবা রাজ কাপুর সিংকে মারধর করে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।