বাবার গ্রেফতারির পর থেকে বাড়ি প্রায় অন্ধকার। মাস কয়েক ইডি – সিবিআইয়ে ডাকে দৌড়াদৌড়ির পর নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। কিন্তু বাবার দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হতেই কার্যত ভেঙে পড়েছেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, শনিবার আদালতের নির্দেশের পর সুকন্যা কার্যত চুপ করে গিয়েছেন। মাঝে মাঝেই চোখ থেকে পড়ছে জল।
গত বছর আগাস্টে গরুপাচার কাণ্ডে বাড়ি থেকে কেষ্টকে গ্রেফতার করে ইডি। তার পর দফায় দফায় জেরার পর আপাতত তাঁর ঠাঁই হয়েছে আসানসোল জেলে।
ওদিকে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকে বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি নিঃস্তব্ধ। আগে যে বাড়িতে রোজ হাই প্রোফাইল নেতা মন্ত্রীদের রোজ যাতায়াত লেগে থাকত সেই বাড়িতে এখন হাতে গোনা কয়েকটি প্রাণী। দেখা নেই সমর্থকদেরও। যে চেয়ারে অনুব্রত বসতেন এখনো তা তোয়ালে দিয়ে ঢাকা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে সুকন্যা ছাড়া থাকেন এক পরিচারিকা। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী। এছাড়া মাঝে মাঝে সুকন্যার এক বান্ধবী এসে থাকেন তাঁর সাথে।
প্রতিবেশীদের কথায়, সুকন্যা আর বাড়ি থেকে বেরোন না বললেই চলে। সারাদিন নিজেকে বাড়িতে বন্দি করে রাখেন। তার মধ্যে জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেতন। শনিবার বাবার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে এখবর পাওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। জেনে গিয়েছেন, বাবা চলে যাবেন আরও দূরে। একথা ভেবে চোখের কোণ চিকচিক করে উঠেছে তাঁর।
বলে রাখি, সুকন্যার মা ছবি মণ্ডল ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।