Satyajit Ray’s Pather Panchali: পথের পাঁচালিতে দ্রৌপদীর অপমান, চারুলতায় যৌনতা! গেরুয়া শিবিরের কোপে সত্যজিতের ছবি

Advertisement

এবার খোদ সত্যজিৎ রায়ের ছবি রোষানলের মুখে পড়ল। হিন্দুত্ববাদীদের খাড়া নেমে এল তাঁর একাধিক ছবির উপর। আন্তর্জাতিক স্তরে যে ছবিগুলো বন্দিত হয়েছে, সেই পথের পাঁচালি, চারুলতা নিয়ে আপত্তি তুলেছে গেরুয়া শিবির। গেরুয়াপন্থিদের মতে পথের পাঁচালি ছবিতে নাকি দারিদ্র্য দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে চারুলতা ছবিটিতে নাকি পরিবারের মধ্যে অবাধ যৌনতা দেখানো আছে! এই কারণে নাকি এই ছবিগুলো দেখানো যাবে না। এমন কথা প্রকাশ্যে আসার পরই চলচ্চিত্র মহলে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে।

৩ মার্চ, শুক্রবার থেকে কটকে ওড়িশার র‌্যাভেনশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। এই অনুষ্ঠানটি তিনদিন চলার কথা ছিল। এখানে প্রদর্শিত হবে এমন একাধিক ছবি নিয়ে আপত্তি তোলে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই নাকি উদ্যোক্তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। বলা হয় সমকামী এবং রূপান্তরকামী সম্পর্ক নিয়ে বা কবীরকে নিয়ে বানানো দুটি তথ্যচিত্র দেখানো যাবে না। একই সঙ্গে বলা হয় এখানে নাকি বিতর্কিত বিষয় রয়েছে। হিন্দুত্ববাদী ছাত্র ছাত্রীদের এমন দাবির পর সেই ছবি দুটোকে বাদ দিয়েই শুরু হয় এই অনুষ্ঠান।

শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠানে সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালি, অপরাজিত, চারুলতা, অপুর সংসার, কাপুরুষ, ইত্যাদি ছবিগুলো দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে একই ভাবে পথের পাঁচালি এবং চারুলতা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি করা হয়। কিন্তু কি নিয়ে আপত্তি? পাঁচালি বানানটি ইংরেজিতে পাঞ্চালি হচ্ছে, সেটা নিয়েই তাঁদের আপত্তি। তাঁরা ভাবছেন এই ছবিতে নাকি দ্রৌপদীকে নিয়ে নাকি সমালোচনা করা হয়েছে। এ হেন আপত্তির পর এই ছবি দুটিকে বাদ রেখেই অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

এমন কাণ্ডের পর নাগরিক মহল থেকে পরিচালকরা গর্জে উঠেছেন। পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য একটি খোলা চিঠি লেখেন। সেখানে বহু মানুষ সম্মতি জানিয়ে নিজেদের সই দিয়েছেন।

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।