৩১ বছর আগে নিখোঁজ মহিলা, মৃত বলেও ধরে নিয়েছিল পরিবার, খোঁজ মিলল অবশেষে

Advertisement

বাড়ি পেনসিলভানিয়াতে। প্যাট্রিসিয়া কোপতা। প্রায় ৩০ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এদিকে দীর্ঘদিন তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরে তাকে আইনগতভাবে মৃতও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এবার সেই মহিলার দেখা মিলেছে। তাকে একটি নার্সিং হোমে দেখা গিয়েছে বলে খবর। এতে অত্যন্ত খুশি তার পরিবার।

পিটসবার্গ পোস্ট গেজেটে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে রস টাউনশিপ পুলিশ ঘোষণা করেছে ৮৩ বছর বয়সী ওই মহিলা একটি অ্য়াডাল্ট কেয়ার হোমে রয়েছেন। প্রায় তিন দশক ধরে খোঁজ মিলছিল না তার। আর অবশেষে তাঁর খোঁজ মিলেছে। 

সেই ১৯৯২ সাল। প্যাট্রিশিয়া নামে ওই মহিলার স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাঁকে পায়নি। এরপর ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁর খোঁজ মেলে। একটি সমাজসেবী সংস্থাও তার খোঁজ দেয়। প্রায় ১৭০০ মাইল দূরে একটা জায়গায় প্যাট্রিশিয়া রয়েছেন বলে তারা জানিয়েছিলেন। 

এরপর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলেন রস টাউনশিপ পুলিশ জানিয়েছে ১৯৯৯ সালে নিড ইন কেয়ার সংস্থায় প্যাট্রিশিয়ার খোঁজ মেলে। এরপর তাকে অ্য়াডাল্ট কেয়ার হোমে পাঠানো হয়। এদিকে তার বোনের দাবি, প্রায় ৩১ বছর ধরে দিদির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই রহস্যের ভেদ করেছে পুলিশ। আমরা এজন্য পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। দিদি যে বেঁচে আছেন এটাতে তিনি খুশি।

এদিকে প্যাটিশিয়ার স্বামী জানিয়েছেন, আপনারা বুঝতে পারবেন না কীভাবে এই দিনগুলো কাটিয়েছি।  সে যে বেঁচে গিয়েছে এতে আমরা খুশি। এতে খুব স্বস্তি পেয়েছি। প্য়াট্রিশিয়া আপাতত ডাইমেনশিয়াতে ভুগছেন।

এদিকে রস টাউনশিপ পুলিশকে তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, বিয়ের প্রথম দিকে স্ত্রী একটা অদ্ভূত জীবন যাপন করত। বলরুম ডান্স করতে তিনি ভালোবাসতেন। তবে ওই দম্পতির কোনও সন্তান ছিলেন। প্য়াট্রিশিয়া ক্য়াথলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন। রাতদিন পুজোপাঠ নিয়ে থাকতেন। রবিবার করে স্থানীয় চার্চে যেতেন। তবে এই ধর্মবিশ্বাস থেকে তিনি  নানা কথা বলতেন। এমনকী তিনি দেবদূতেদের দেখেছেন বলেও দাবি করতেন। 

পরে তার কাজ চলে যায়। সেই সময় তিনি পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সেখানে তিনি বলতেন পৃথিবীর শেষ হতে চলেছে। সেকারণে সাবধান। পিটসবার্গে তিনি চড়াইপাখি বলেও পরিচিত ছিলেন। সেই তিনিই একদিন উধাও হয়ে যান তিনি। তারপর খোঁজ মিলল প্রায় ৩১ বছর পরে। 

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।