বিচারপতিদের নিয়েও ট্রোলিং হয়, মিথ্যে খবরের শিকার হচ্ছে…দেশের প্রধান বিচারপতি

Advertisement

আমেরিকার বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত কনফারেন্সে বক্তব্য রেখেছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর মতে, সত্যি বিষয়গুলিও ভুয়ো খবরের শিকার হচ্ছে এটা একেবারে সত্যি। তিনি জানিয়েছেন সহ্য়শক্তির কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বর্তমান জনতার।  এটা আধুনিক যুগের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। 

জনতার মধ্যে ধৈর্য্য ও সহ্যশক্তি না থাকাকেও তিনি এ যুগের একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে মিথ্যে খবরের জেরে সত্যিও শিকার হয়ে যাচ্ছে। সোশ্য়াল মিডিয়ার প্রসারের জেরে সেখানে প্রথমে একটি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হয়। আর সেটাই একেবারে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে ফেলে। কিন্তু সেটা যৌক্তিকতার সঙ্গে বিচার করা হয় না। 

এমনকী তিনি জানিয়েছেন বিচারপতিদের নিয়েও ট্রোলিং করা হয়। ট্রোলিং থেকে রেহাই পান না বিচারপতিরাও। তিনি জানিয়েছেন, ছোট ছোট জিনিস যেটা আমরা করি, আর বিচারপতি হিসাবে বিশ্বাস করি সেটাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কিছু হয় না। আমরা যে কাজ করি, সেক্ষেত্রে এমন মানুষরাও আমাদের ট্রোলিং করেন তিনি আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি টুকুও শেয়ার করেন না। আমরা এমন একটা সময়ে বাস করি যেখানে লোকজনের ধৈর্য্য অত্যন্ত কম। তাদের ধৈর্য্য অত্যন্ত কম। তারা কোনও বিষয়কে মানতেও পারেন না।

দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, বর্তমানে সমাজ একটি বিপদের মধ্য়ে দিয়ে চলছে। প্রযুক্তি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। 

দেশের প্রধান বিচারপতি গ্লোবালাইজেশনের সুবিধা সম্পর্কে জোর দেন। তিনি চারটি বিষয়কে তুলে ধরেন। সেই চারটি বিষয় হল সন্ত্রাসবাদ, আবহাওয়ার পরিবর্তন, কোভিড ১৯, ও বৈষম্য।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আক্রমণ প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অ্যান্টি গ্লোবালাইজেশন আবেগের উত্থান হচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদী হানা ভারতকে পর্যন্তকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। 

অন্যদিকে দ্বিতীয় কারণ সম্পর্কে দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটা শুধু দেশের এলিট সোসাইটিকে নাড়িয়ে দিয়েছে এমনটা নয়, এটা সরাসরি সমাজের প্রান্তিক শ্রেণিকেও আঘাত করছে। তিনি জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন এলিট শ্রেণিকে শুধু নাড়িয়ে দিয়েছে এমনটা নয়।এটা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। উপকূলবর্তী দেশ ও উপকূলবর্তী রাজ্য়গুলিতে অতিমারির প্রভাব যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল।

এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বের ইকোনমিক পাওয়ার হাউজের গন্তব্য এখন ভারতবর্ষ। গত ৫-৭ বছর ধরে ভারতীয় শিল্পক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা দিয়েছে।  

Advertisement

Malek

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।