সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি
সরকারি আইনজীবী তিনি। তাঁর কাছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে এমনই আন্দাজ করেছিল ইডি। সেই অনুমান করেই গত বুঝবার সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারীকরা। যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ। একাধিক নেতা মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। সেকারণেই সরকারের একাধিক তথ্য তাঁর কাছে থাকতে পারে অনুমান করেই হয়তো ইডি তল্লাশি চালায় সঞ্জয় বসুর বাড়িতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ
অ্যাডভোকেট সঞ্জয় বসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন। কাজেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। রাজ্য সরকারের একাধিক তথ্য তাঁর জানা। বুধবার হঠাৎই তাঁর আলিপুরের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দীর্ঘক্ষণ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় তাঁরা। বেশ কিছু প্রশ্ন করার পর সেখান থেকে চলে যান তদন্তকারীরা। তেমন কিছু তথ্য তাঁরা পাননি বলেই জানা গিয়েছে।

তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর
অ্যাডভোকেট সঞ্জয় বসুর বাড়িতে ইডি তল্লাশির তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে করা হয়েছে। রাজনাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সঞ্জয় বসু। রাজনৈতিক কারণেই সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি অভিযোহ করেছেন কোনও কিছুই তাঁর কাছ থেকে পায়নি ইডি। অথচ তাঁকে হেনস্থা করা হল। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিই বা বলা যায়।

সঞ্জয় বসুর সংস্থা
জানা গিয়েছে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর একুই ল নামে একটি সংস্থা রয়েছে। তার অফিস রয়েছে কলকাতা, দিল্লি এবং মুম্বইয়েও। ২০২১ সালেও একবার সঞ্জয় বসুকে জেরা করে ইডি। চিটফান্ড দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। পিনকন চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। বাজার থেকে চিটফান্ড সংস্থার নামে ৮০০ কোটি টাকা তুলেছিল পিনকন। হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলা হয়েছিল।